‘অবাধ ও স্বচ্ছ নির্বাচনে সহযোগিতা করবে যুক্তরাষ্ট্র’

 

বাংলাদেশে অবাধ ও স্বচ্ছ নির্বাচন অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্র সহযোগিতা করবে বলে জানিয়েছেন ঢাকায় সফররত মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি আফরিন আক্তার।

রোববার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিটের সচিব, আমেরিকা ও মিয়ানমার অনুবিভাগের মহাপরিচালকদের সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি এ কথা বলেন।

এটি বাংলাদেশে প্রথম সফর জানিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি বলেন, সুশীল সমাজ, সরকারি কর্মকর্তা সকলের সঙ্গে আলোচনা করতে এসেছি। বাংলাদেশে এসেছি একত্রে কাজ করার বিষয়ে কথা বলতে। এসেছি রোহিঙ্গা নিয়ে আলোচনা করতে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সমুদ্রে নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা করেছি। মাছ শিকারসহ এর অন্যান্য খাতে কিভাবে এ অঞ্চল ও বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতার মাধ্যমে কাজ করতে পারি সে বিষয়েও কথা হয়েছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বেশ কয়েকটি বৈঠকের বিষয়ে তিনি বলেন, দ্বিপক্ষীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সেখানেও বাংলাদেশের নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতার বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এছাড়া শ্রম সংস্কারসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

অবাধ ও স্বচ্ছ নির্বাচনে কীভাবে সহযোগিতা করবে যুক্তরাষ্ট্র- জানতে চাইলে আফরিন আক্তার বলেন, আমাদের মার্কিন সহযোগী সংস্থা ইউএসএআইডি বাংলাদেশের সুশীল সমাজের সঙ্গে এ নিয়ে কাজ করছে। সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সহযোগিতা করছে অবাধ ও স্বচ্ছ নির্বাচন অনুষ্ঠানে।

শনিবার বিকেলে ঢাকায় এসেছেন আফরিন আক্তার। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরে দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়গুলো নিয়ে তিনি কাজ করেন। বাংলাদেশ সফরে সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক ছাড়াও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা করবেন তিনি। সোমবার আরও কিছু বৈঠক করে ঢাকা ছাড়বেন এ মার্কিন কর্মকর্তা।

আফরিন আক্তার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের হয়ে নেপাল, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ, ভুটান ও মালদ্বীপের বিষয়গুলো দেখভাল করেন। সেই সঙ্গে অফিস সিকিউরিটি ও অন্তর্দেশীয় বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করেন। চলতি বছরের এপ্রিলে তাকে এ দায়িত্ব দেওয়া হয়।

বাংলাদেশের আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে মার্কিন কর্মকর্তার সফরটি গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখছে ঢাকা। বিশেষ করে বাংলাদেশের গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও বাক স্বাধীনতা, শ্রম অধিকারের মত বিষয়গুলোতে বেশ সরব যুক্তরাষ্ট্র। ফলে এ কর্মকর্তার সফরসহ এ বছরে আরও কিছু মার্কিন কর্মকর্তাদের সফর নির্বাচনের হাওয়া কোন দিকে যাবে, তা নির্ধারণে সহায়ক হবে বলে মনে করছেন কূটনীতিকরা।