বিপর্যয় না হলে সারের সংকট হবে না: কৃষিমন্ত্রী

কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, খাদ্যশস্য উৎপাদন যাতে ব্যাহত না হয় সেদিকে সজাগ রয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়। প্রধানমন্ত্রী আমাদেরকে নির্দেশনা দিয়েছেন যাতে দেশে সারের কোন রকম সমস্যা না হয়। আশা করি কোন ধরনের বিপর্যয় না হলে সারের সংকট হবে না। আমাদের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে দেশ এখনও খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ।

মঙ্গলবার বেলা ১১ টায় চুয়াডাঙ্গার জীবননগরের সন্তোষপুরে কৃষি উদ্যোক্ততার গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষ পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এই কথা বলেন। এর আগে মন্ত্রী ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার দত্তনগর বীজ উৎপাদন খামার পরিদর্শন করেন।

মন্ত্রী বলেন, পেঁয়াজ আমাদের দেশে একটা গুরুত্বপূর্ণ খাবারের মসলা। দেশের জনসংখ্যা বাড়ছে তাই খাদ্যের জন্য বেশি পরিমাণ ধান উৎপাদন হয়ে থাকে। যার কারণে কৃষক পেঁয়াজ উৎপাদন করতে চায় না। সাধারণত ফাল্গুন, চৈত্রে পেঁয়াজ বেশি উৎপাদন হয়। পচনশীল হওয়ায় এটি বেশি দিন রাখা যায় না। আমরা দেখছি আশ্বিন-কার্তিক মাসে পেঁয়াজের মজুদ থাকে না। এসময় বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। আমাদের বিজ্ঞানীরা নতুন উদ্ভাবন গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের দিকে নজর দিতে হবে। তাহলে বাইরে থেকে পেঁয়াজ আমদানির ওপর নির্ভরতা কমানো সম্ভব হবে।

জীবননগর সন্তোষপুরে কৃষি উদ্যোক্ততা জাহিদুল ইসলামের ভাই ভাই কৃষি খামার পরিদর্শন করেন কৃষি মন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক । এসময় উপস্থিত ছিলেন, চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য (স্থানীয়) হাজী আলী আজগার টগর, কৃষি সচিব মো. সায়েদুল হক,কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. বেনজির আলম, চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক আমিনুল ইসলাম, পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ-আল মামুন, চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান মনজু, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজাদুল ইসলাম আজাদ, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিভাস চন্দ্র সাহা, জীবননগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) তিথি মিত্র, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শারমিন আক্তার।

সন্তোষপুর ভাই ভাই কৃষি খামারের স্বত্বাধিকারী জাহিদুল ইসলাম বলেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় গত বছর থেকে গ্রীষ্মকালীন ফসল চাষ শুরু করি। আমার এই খামারে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ, টমেটো, শিম চাষ হয়েছে। অসময়ে এসব খাদ্য শস্য উৎপাদন করে বাজারে বেশি দাম পাওয়া যায়। এছাড়াও দেশের খাদ্যের চাহিদা মেটাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা যাবে।