১০ ডিসেম্বর সরকারের পতন ছাড়া ঘরে ফিরে যাবো না: খোকন

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন বলেছেন, ঐক্যবদ্ধ হয়ে জনগণকে নিয়ে সরকার পতনের আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। সব বাধা উপেক্ষা করে ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশ সফল করতে হবে।

সরকার পতন ছাড়া আমরা কেউ সেদিন ঘরে ফিরে যাবো না। বিএনপির জনসমুদ্র দেখে আওয়ামী লীগ দিশেহারা হয়ে গেছে।

এখন আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট ঘটনা সাজিয়ে নেতাকর্মীদের নামে মামলা দিচ্ছে। কোনো মামলা হামলার ভয় দেখিয়ে বিএনপিকে দামাতে পারবেন না।

 

শনিবার (১৯ নভেম্বর) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির অধীনে গোগনগর ইউনিয়ন বিএনপির সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

 

তিনি বলেন, বিএনপি পাঁচবার রাষ্ট্র ক্ষমতায় এসেছে। আপনাদের মতো পেছনের দরজা দিয়ে আসেনি। সবসময় গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ক্ষমতায় এসেছে। এ সরকারের মতো রাতের ভোটে ক্ষমতায় আসেনি কখনও। তৃণমূলের নেতৃত্ব উপর থেকে চাপিয়ে দেওয়া যাবে না। ঈমানদারকে নেতৃত্ব দিতে হবে। কর্মীবান্ধব নেতা হতে হবে। যে নেতা কর্মীদের পাশে দাঁড়ায়।

 

দিন বেশি নেই। আমাদের নেতাকর্মীরা হামলা মামলায় নিঃস্ব। আপনারা দলের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। এ জনসমাবেশগুলো জনসমুদ্রে পরিণত হচ্ছে না? মানুষ চিড়া মুড়ি নিয়ে নদী সাঁতরে সমাবেশে আসছে। এর থেকে কী বুঝতে পারছেন না ১০ ডিসেম্বর কী হতে যাচ্ছে।

আজ মানুষ না খেয়ে আছে। খাগড়াছড়িতে দেখলাম মা সন্তানকে বাজারে তুলেছে বিক্রি করে দিতে। মানুষের আয় ইনকাম কী বেড়েছে? অথচ ব্যয় বেড়েছে। আপনারা দেখেছেন তারা বেগম পাড়া বানিয়েছে সেকেন্ড হোম বানিয়েছে। আপনারা কী তাদের নাম জানতে চান না? বাংলাদেশ ব্যাংকের টাকা লুট হয়ে যায় সে সরকার কীভাবে ক্ষমতায় থাকে। আজ এলসি খুলতে পারছে না। রিজার্ভ মাত্র ২৪ বিলিয়ন ডলার। এই টাকা গেল কোথায়। এটা জনগণ জানতে চায়।

জ্বালানি তেলের দাম কেন বাড়ানো হলো। সে কারণেই আজ সব পণ্যের দাম বাড়তি। সে ব্যাপারে তারা কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছেন না। তারা শুধু বলে খেলা হবে। কীসের খেলা। খেলা তো হবে নির্বাচনে। ২০১৮ সালের খেলা আর বাংলাদেশে হবে না। মানুষ রাজপথে নেমে গেছে।

 

বিএনপির উদ্দেশ্য ক্ষমতায় যাওয়া নয়। বিএনপি চায় গণতান্ত্রিক সরকার। মানুষের ভোটাধিকার মানুষকে ফিরিয়ে দিতে চায় বিএনপি। জনগণের জন্য সংবিধান না সংবিধানের জন্য জনগণ। এবার জনগণ জেগেছে।

তিনি আরো বলেন, আগামী বছর ২৩ বিলিয়ন ডলার ঋণ পরিশোধ করতে হবে। এ ঋণ কে পরিশোধ করবে। শেখ হাসিনাই বলেছেন দেশে দুর্ভিক্ষ হবে। তারা দেশকে খাদের কিনারায় দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। আসুন এ সরকারকে বিদায় করে আমরা জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করবো।

এ প্রথম নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির অধীনে গোগনগর ইউনিয়ন বিএনপির সম্মেলন উদ্বোধন করেন মহানগরের আহ্বায়ক সাখাওয়াত হোসেন খান। ভোটের মাধ্যমে ইউনিয়নের সভাপতি, সাধারণ সস্পাদক ও সাংগঠনিক সস্পাদক নির্বাচিত করেন ১২৬ জন কাউন্সিলর।

দ্বি-বার্ষিকী সম্মেলন প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্বে ছিলেন মহানগরের আহ্বায়ক সদস্য রফিকুল ইসলাম রফিক। সদস্য ছিলেন মজিবুর রহমান, আনোয়ার প্রধান ও মাসুদ রানা।

সভাপতি পদে আক্তার হোসেন ও মোক্তার হোসেন, সাধারণ সস্পাদক পদে জাহাঙ্গীর মিয়াজী ও আইয়ূব আলী প্রার্থী হন। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন সাংগঠনিক সস্পাদক মাইনুল হাসান লিমন।