নির্বাচন কমিশনাররা মেরুদণ্ডহীন: কাদের সিদ্দিকী

kader seddiki

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম বলেছেন, আজকালের নির্বাচন কমিশনাররা মেরুদণ্ডহীন। এখন তারা ক্যামেরা ব্যবহার করেন। গাইবান্ধায় ক্যামেরা ব্যবহার করেছেন। তারা ঢাকায় বসেই ভোটচুরি দেখছেন। এখন সবখানেই চোরের কারবার হয়ে গেছে।
১৯৯৯ সালের ১৫ নভেম্বর টাঙ্গাইল-৮ (সখীপুর-বাসাইল) আসনের উপ-নির্বাচনে জনগণের ভোটের অধিকার হরণের প্রতিবাদে আজ বুধবার বিকেলে স্থানীয় ডাকবাংলো চত্বরে উপজেলা কৃষক শ্রমিক জনতালীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির তিনি এসব কথা বলেন।

কাদের সিদ্দিকী বলেন, ১৯৯৯ সালের ১৫ নভেম্বর আওয়ামী লীগ সরকার এমন ভোট চুরি করেছিল, ভোটের আগের রাতেই ৪০ হাজার ভোট বাক্সে ভরে রেখেছিল। সেদিন তারা ভোটে জিতে নাই। চারটি কেন্দ্রের ১৬ হাজার ভোট বাকি রেখেই ভোটগ্রহণ বন্ধ করা হয়েছিল।

বন বিভাগকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, সখীপুরের সাধারণ মানুষকে বন বিভাগ নোটিশ দিয়েছে বলে শুনেছি। তাদের নাকি জমি ছেড়ে দিতে হবে। যাদের বাড়িঘর আছে, কবর আছে, যারা ধান ফলায়, পাট ও সবজি চাষ করে, তাদের এক ইঞ্চি জমিতেও যদি বন বিভাগ খবরদারি করতে যায়, তাহলে তাদের সখীপুর থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হবে। তাদের এক মূহূর্তও এখানে থাকতে দেওয়া হবে না।

উপজেলা কৃষক শ্রমিক জনতালীগের আহ্বায়ক আবদুস সবুর খানের সভাপতিত্বে জনসভায় আরও বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কৃষক শ্রমিক জনতালীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান খোকা বীর প্রতীক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ ইকবাল সিদ্দিকী, সদস্য শামীম আল মনসুর আজাদ সিদ্দিকী, জেলা কমিটির সহ-সভাপতি আবদুল হালিম সরকার লাল, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এটিএম সালেক হিটলু, আলমগীর সিদ্দিকী ও আবু জাহিদ রিপন প্রমুখ।