রাজশাহীতে বিএনপির গণসমাবেশ

সকাল সাড়ে ১০টায় কোরআন তিলাওয়াতের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে রাজশাহীতে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ।

দুপুর ২টা থেকে অনুমতি দিলেও পুলিশ মাঠের নিয়ন্ত্রণ সকাল ৬টার দিকে ছেড়ে দেয়। এরপর ছোট ছোট মিছিল নিয়ে নেতাকর্মীরা মাঠে প্রবেশ করতে থাকেন। সকালেই বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু মঞ্চে উঠেন।

এ সময় মিজানুর রহমান মিনুর সঙ্গে সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুসহ স্থানীয় নেতারা মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে সকাল সাড়ে ৯টায় জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) জাতীয় সংগীত পরিবেশন করে। এরপর তারা ‘প্রথম বাংলাদেশ আমার’সহ বিভিন্ন সংগীত পরিবেশন করতে থাকেন।

মঞ্চে অন্ন্য চেয়ারের সঙ্গে বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক রহমানের ছবি রেখে দুটি প্রতীকী চেয়ার রাখা হয়েছে।

নেতারা জানান, বাধা ও হয়রানির কারণে অনেকেই আসতে পারেন নি। তারপরও জনসমুদ্রে পরিণত হবে সমাবেশ। তারা অভিযোগ করেন, ইন্টারনেট বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট টানা ছিল, সেটিও কেটে ফেলা হয়েছে।

সমাবেশস্থলের আশে পাশের প্রায় দেড় কিলোমিটার এলাকাজুড়ে লাগানো হয়েছে ১৫০টির মতো মাইক।

সমাবেশ প্রস্তুতির মিডিয়া উপকমিটির আহ্বায়ক তোফাজ্জল হোসেন তপু বলেন, ঢাকা থেকে জাসাসের কেন্দ্রীয় নেতারা এসেছেন। এ ছাড়া বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকে জাসাসের শিল্পীরা কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছেন।

 

সমাবেশে আসা নেতা-কর্মীরা বলেন, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের হুমকি-বাধা, লাঠি নিয়ে সড়কে অবস্থান ও যানবাহন থেকে নামিয়ে দেওয়ার পরও রাজশাহীর গণসমাবেশস্থলে জড়ো হয়েছেন তারা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জনাকীর্ণ হয়ে উঠছে সমাবেশস্থল। স্লোগান আর মিছিলে মিছিলে মুখর হয়ে উঠেছে পুরো এলাকা।

সমাবেশস্থলে আসা রাজশাহীর বাঘা উপজেলার মনিগ্রাম ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হেলাল হোসেন রিয়েল বলেন, আমাদের ইউনিয়ন থেকে প্রায় ১ হাজার ২০০ জন এসেছি। মোড়ে মোড়ে পুলিশের চেকপোস্টে তল্লাশির কারণে আমরা পদ্মা নদী দিয়ে ট্রলারে করে গণসমাবেশে এসেছি। তারপরও পথে বাধাবিঘ্ন সৃষ্টি করা হয়েছে।

নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার দয়ারামপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সাজদার হোসেন বলেন, আমাদের ইউনিয়ন থেকে প্রায় ৪৫০ জন এসেছি। রাতে ট্রেন থেকে নেমে স্টেশনের পাশে ছিলাম। সকালে সমাবেশের এখানে আছি। অনেক বাধা পেরিয়ে সমাবেশে উপস্থিত হতে পেরে নেতাকর্মীরা খুশি।

নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি, জ্বালানি তেল ও নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদসহ বিভিন্ন দাবিতে বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাজশাহীতে এ গণসমাবেশ হচ্ছে। সমাবেশে প্রধান অতিথি থাকবেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

রাজশাহী নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার বিজয় বশাক বলেন, দুপুর ২ টায় সমাবেশ শুরুর কথা থাকলেও সকাল সাড়ে ৯টায় শুরু করেছে। প্রায় দেড় হাজার পুলিশ সমাবেশস্থলে মোতায়েন আছে। আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রনে রাখতে তারা কাজ করছে।