‘১০ তারিখের পর বিএনপির হাঁকডাক খতম, তাদের খেলা শেষ’

obidul kader
ফাইল ছবি

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির হাঁকডাক ১০ তারিখের পর খতম হয়ে গেছে। তাদের খেলা এখন শেষ। কোয়ার্টার ফাইনালে বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ বিজয়ী হয়েছে। সামনে সেমিফাইনাল। এরপর ২৪ সালের জানুয়ারির নির্বাচনে হবে ফাইনাল খেলা।

তিনি বলেন, তারা বলেছিল ১০ ডিসেম্বর বিজয় মিছিল করবে, সব কিছু অচল করে দেবে। কিন্তু কই ১০ তারিখ তো চলে গেছে, এখন তারা নিজেরাই অচল হয়ে গেল। বিএনপির সরকার পতনের রঙিন খোয়াব অবশেষে খতম। এখন খেলা হবে বিএনপির দুর্নীতির বিরুদ্ধে, খেলা হবে হাওয়া ভবনের বিরুদ্ধে, খেলা হবে ভোট চুরির বিরুদ্ধে।

সোমবার বেলা ১১টায় চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ২০০৭ সালে মুচলেকা দিয়ে তারেক রহমান দেশ ছেড়ে গেলেন আর রাজনীতি করবেন না বলে। দেখতে দেখতে ১৫ বছর কেটে গেল। শুনছি উনি দেশে আসবেন। তা আবার কবে? মানুষ বাঁচে কয় বছর? মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করে ক্ষমতায় আসা যায় না। মানুষের আস্থা অর্জন করা যায় না। বিএনপির কাজই হচ্ছে লুটপাট ও সন্ত্রাস করা। তারা দেশে কী করেছে তা আপনারা দেখেছেন।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রসঙ্গে বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে মৃত ঘোষণা করেছেন। অথচ তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি করেন। তাদের দাবির মধ্যে একটিও দাবি দেখলাম না, তবুও খতিয়ে দেখছি মেনে নেওয়ার মতো কোনো কিছু আছে কিনা।

বিএনপির সাত এমপির পদত্যাগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পার্লামেন্ট ছেড়ে এভাবে চলে যাওয়া তাদের বড় ভুল। এ ভুল তারা অচিরেই টের পাবেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে উন্নতির চরম শিখরে পৌঁছে দিয়েছেন। তিনি দেশের মানুষের জন্য চিন্তা করেন। মাত্র সাড়ে তিন ঘণ্টা ঘুমান তিনি। তিনি আছেন বলেই বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার হয়েছে। তিনি আছেন বলেই নিজের টাকায় পদ্মা সেতু হয়েছে। তিনি আছেন বলেই দেশে মেট্রোরেল হয়েছে।

নিজের দলের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, যারা আওয়ামী লীগে শৃঙ্খলা নষ্ট করবে তাদের আওয়ামী লীগে প্রয়োজন নেই।

জ্বালানি সংকট, মূল্যস্ফীতি, নিষেধাজ্ঞা, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে মানুষ কিছুটা কষ্টে আছে উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, মানুষ বাঁচানোর জন্যই নেত্রীর চোখে ঘুম নেই। মানুষকে বাঁচানোর জন্যই তিনি সর্বদা চেষ্টা করে যাচ্ছেন। আমাদের এখনো পাঁচ মাস চলার মতো রিজার্ভ আছে; যা তিন মাসের মজুদ থাকলেই চলে।

চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন এমপির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ। প্রধান বক্তা ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম।

বিশেষ অতিথি ছিলেন দলের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, কার্য নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট আমিরুল আলম মিলন এমপি, কার্য নির্বাহী কমিটির সদস্য পারভিন জামান কল্পনা ও অ্যাডভোকেট গ্লোরিয়া সরকার ঝর্ণা।

আরও বক্তব্য রাখেন চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের এমপি আলী আজগার টগর ও দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান মনজু।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আজাদুল ইসলাম আজাদ।

প্রসঙ্গত, দীর্ঘ ৭ বছর পর অনুষ্ঠিত হলো চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন। ২০১৫ সালের ২ ডিসেম্বর একই স্থানে জেলা আওয়ামী লীগের সর্বশেষ সম্মেলন ও কাউন্সিল অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।