ছেলের জঙ্গি-সম্পৃক্ততার বিষয়ে জানতেন জামায়াতের আমির

পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের প্রধান মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, ‘নিজের ছেলে (ডা. রাফাত সাদিক সাইফুল্লাহ) যে জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্কিয়ার সঙ্গে জড়িত, তা জানতেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি গোপনে অর্থ সরবরাহ ও নানা বিষয়ে সহযোগিতা করতেন।’

বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ঢাকা মেট্রোপলিট পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি এসব কথা বলেন।

ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান আরও বলেন, ‘রাজধানীর যাত্রাবাড়ীসহ কয়েকটি এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে সন্দেহভাজন চার জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে জামাতের আমিরের ছেলের জঙ্গি সম্পৃক্ততার তথ্য বেরিয়ে আসে। সে জঙ্গি সংগঠন শারক্কিয়াকে শুধু অর্থই সহযোগিতা করত না, সংগঠনে পরিচালনার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত বা নির্দেশ দিত বলে স্বীকার করেছে। এর পরেই মূলত জামায়াতের আমিরের ছেলের ব্যাপারে আমাদের নিবিড় গোয়েন্দা নজরদারি শুরু হয়। পরে সুনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে ডা. রাফাত সাদিক সাইফুল্লাহকে গত ৯ নভেম্বর সিলেট থেকে গ্রেপ্তার করে সিটিটিসি। রাফাত শারক্কিয়ার সিলেট অঞ্চলের শীর্ষ পর্যায়ের নেতা। সে দীর্ঘদিন ধরে সেখানে জিহাদি দাওয়াতের কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল। পরে তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে জামায়াতের আমির শফিকুর রহমানের সম্পৃক্ততার তথ্য বেরিয়ে আসে। এ অভিযোগে তাকে রাজধানীর উত্তরার বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রথম দফায় তিনি রিমান্ডে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। আরও কিছু তথ্য জানার জন্য তাকে পুনরায় রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। রিমান্ড শেষে তার বিষয়ে আরও বিস্তারিত জানানো হবে।’