ব্যাটারী চালিত রিকশা ভাড়া নিয়ে সদর উপজেলার ঘুরুলিয়া গ্রামের মাঠের মধ্যে ব্রিজের উপর নিয়ে চাকু ঠেকিয়ে রিক্সা ছিনতাইকালে দুই ছিনতাইকারীকে স্থানীয় জনগণ ধরে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে। এ ঘটনায় গ্রেফতারকৃত দু’জন ও একজন পলাতক আসামীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
মামলাটি করেন, সাতক্ষীরা জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার আব্দুলখালী গ্রামে বর্তমানে যশোর শহরের খড়কী (স্বপন উকিলের বাড়ির ভাড়াটিয়া ( দিদারুল মিস্ত্রির ছেলে মুনজুর বিশ^াস। আসামীরা হচ্ছে, সদর উপজেলার শেখহাটি তরফ নওয়াপাড়া মনিরুল ইসলামের ছেলে সমু গাজী,সদর উপজেলার শেখহাটি বাবলাতলা গ্রামের কামাল হোসেনের ছেলে নাহিদ হোসেন ও একই এলাকার ফারুক হোসেনের ছেলে সাজিদ। স্থানীয় জনগণ সমু গাজী ও সাজিদকে একটি বার্মিজ চাকুসহ ধরে গণপিটুনী দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে।
বাদি মামলায় উল্লেখ করেন, তার ব্যাটারি চালিত দু’টি রিক্সা আছে। একটি বাদি নিজে অপরটি তার ছেলে মকলেছুর রহমান সিয়াম চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে।
গত ৩০ ডিসেম্বর শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় বাদির ছেলে সিয়ান শহরের দড়াটানা মোড় হতে তার রিক্সা নিয়ে যাত্রীর জন্য অপেক্ষা করছিল। এ সময় উল্লেখিত আসামীরা বাদির ছেলেকে দড়াটানা মোড় হতে ফুলতলা তালবাড়িয়া যাওয়ার কথা বললে বাদির ছেলে ব্যাটারী চালিত রিক্সায় আসামীদের নিয়ে যাওয়ার পথিমধ্যে সন্ধ্যা ৭ টায় ঘুরুলিয়া গ্রামস্থ মাঠের মধ্যে ব্রীজের উপর পৌছালে উল্লেখিত যাত্রী বেশে ৩জন রিক্সা থামানোর জন্য বলার এক পর্যায় সমু গাজী বাদির ছেলের গলায় ধরে খুন জখমের ভয়ভীতি দেখিয়ে তার পকেটে থাকা ভিভো মোবাইল ফোন যার মূল্য ১৭ হাজার টাকা জোর পূর্বক কেড়ে নেয়।
এ সময় দস্যুরা বাদির কাছে যা কিছু আছে তা তাদের দেওয়ার কথা বললে বাদি ডাক চিৎকার দিলে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে সমু গাজী ও নাহিদ হোসেনকে গ্রেফতার করে। এ সময় তাদেরসহযোগী সাজিদ পালিয়ে যায়। পুলিশ ৩০ হাজার টাকা মূল্যে ব্যাটারী চালিত রিক্সা ও বার্মিজ চাকু হেফাজতে নেন। গুরুতর আহত অবস্থায় বাদির ছেলে সিয়ামকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।