যশোরে ঋন পরিশোধের চাপে চা ব্যবসায়ির আত্বহনন

las

ঋন পরিশোধের চাপের মুখে বাঘারপাড়ার নারিকেলবাড়িয়া বাজারে নিজ দোকানে গলায় ফাঁস দিয়ে অমল দাস (৪৫) নামের এক চা ব্যবসায়ি আত্মহত্যা কেেরছেন।

বৃহস্পতিবার (১২জানুয়ারি) সকাল ৮টার দিকে এ অপমৃত্যুর মৃত্যুর ঘটনা ঘটে বলে স্থানীয় সুত্রে জানা যায়। পরিবারের সদস্যরা সাংবাদিকদের জানান, অতিরিক্ত ঋনের চাপ সহ্য করতে না পেরে সে আত্মহত্যা করতে পারে।পরিবারের সদস্যরা আরও জানান, প্রতিদিনের মতো আজও সকালে দোকানে চলে যায়, কিন্তু এটাই তার জীবনের শেষ দোকানদারি তা আমরা ভাবতে পারিনি! নারিকেলবাড়িয়া বাজারের কিছু ব্যবসায়ী জানান, অমল দাস অনেক নরম মনের মানুষ, সে কারও সাথে কখনো খারাপ ব্যবহার করতো না। সকলের সাথে হাসিঠাট্টার মধ্যে মিলেমিশে থাকতো। অমল দাসের এ মৃত্যু আমরা মেনে নিতে পারছিনা। এভাবে আমাদের মাঝ থেকে চলে যাবে ভাবতে পারিনি।

স্থানীয় ব্যবসায়ী ও পারিবারিক সূত্র তার এই অপমৃত্যুর জন্য অতিরিক্ত ঋনের চাপকেই দায়ী করছেন। সে বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋনগ্রস্থ ছিল বলে জানা যায়। ঋণদাতা এনজিও কর্মীদের চাপে এবং অন্যান্য দেনার দায়ে জর্জরিত হয়ে মানষিক চাপ সহ্য করতে না পেরে সকালে নিজ দোকানে এসে দোকানের আড়ার সাথে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। বলে সকলের ধারণা। নিহত অমল দাসের বাড়ি নারিকেলবাড়িয়া বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের পিছনে দাস পাড়ায়। অমল দাসের পিতার নাম মৃত রনো দাস। মৃত্যু কালে তিনি এক ছেলে, এক মেয়ে, স্ত্রী ও মাকে রেখে গেছেন।

বাঘারপাড়া থানার কর্তব্যরত অফিসার মকবুল (ওসি তদন্ত) এ বিষয়ে বলেন, “আমি অমল দাসের মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে সাথে সাথে দেরি না করে আমার ফোর্স নিয়ে নারিকেলবাড়িয়া বাজারে উপস্থিত হই এবং ঝুলন্ত অবস্থায় অমল দাস’কে দেখি এবং তার লাশটি উদ্ধার করি।”