তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, মাদারীপুর জেলার শিবচরে ১৫শ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অফ ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি। দেশের সর্বপ্রথম ফ্রন্টিয়ার প্রযুক্তিভিত্তিক বিশেষায়িত ও ডেডিকেটেড একাডেমিক ইনস্টিটিউশন হচ্ছে এই প্রতিষ্ঠানটি।
মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) সকালে শিবচরের এক্সপ্রেসওয়ের পাশে কুতুবপুর ইউনিয়নে প্রায় ৭০.৩৪ একর জায়গা জুড়ে শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অফ ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজির ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী এমপি এবং আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন শেষে তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এ কথা জানান।
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ৭০ একর জায়গায় ওপর ১৫০০ কোটি টাকা ব্যয়ে শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অফ ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি ও সফটওয়্যার নেকনোলজি পার্ক নির্মাণের ফলে ২০৪১ সালের মধ্যে ৪র্থ শিল্প বিল্পবে নেতৃত্ব দিতে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে তৈরি করা এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য।
স্মার্ট বাংলাদেশে স্মার্ট লিডারশিপ তৈরি হবে এখান থেকে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী এমপি ভাইয়ের অনুপ্রেরণা এবং তার উদ্যোগে এখানে প্রায় ৭০ একর জায়গায় আমরা শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অফ ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজির ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করতে পারলাম।
এ সময় তিনি বলেন, আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছি। স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট গভর্নমেন্ট এবং স্মার্ট সোসাইটির চারটি মূলস্তম্ভ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলার আধুনিক রূপ প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সাশ্রয়ী, টেকসই, বুদ্ধিদীপ্ত, জ্ঞানভিত্তিক, প্রযুক্তিনির্ভর, উন্নত অর্থনীতির স্মার্ট বাংলাদেশ। আমাদের মেধাবীদের প্রস্তুত করার জন্য শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অফ ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজিতে যে বিষয়গুলো গুরুত্ব পাবে তার মধ্যে বায়োটেকনোলজি, ন্যানোটেকনোলজি, নিউরোটেকনোলজি, সাইবার সিকিউরিটি, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, ইন্টারনেট অফ রোবোটিক্স থিংস, ব্লক চেইন, ডেটা সায়েন্স, হাইপার অটোমেশন, টেকনোলজিক্যাল এথিক্স, বিহেভিয়ার অ্যান্ড এক্সপেরিয়ান্স ইঞ্জিনিয়ারিং অন্যতম।
জানা গেছে, ১৫শ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন এই ইনস্টিটিউটে ছয় তলা গবেষণা ভবন, চারতলা একাডেমিক ভবন, তিন তলা প্রশাসনিক ভবন, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের জন্য ডরমেটরি ভবন, ছয়টি বিশেষায়িত ল্যাব শিফটের আওতায় নির্মাণাধীন প্রধান অবকাঠামো থাকছে।
পদ্মা সেতুর পাশেই ‘লার্নিং বাই ডুইং’ বা ‘এক্সপেরিয়েনশিয়াল লার্নিং শিক্ষাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে লার্নিং কমিউনিটি ভিত্তিক ইনোভেশন কালচার চর্চার পাশাপাশি দেশের প্রথম জিরো ওয়েস্ট ও এনভায়রনমেন্টাল সাস্টেইনেবল ক্যাম্পাস হিসেবে শিফট হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই আলম চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. বিকর্ণ ঘোষ, প্রকল্প পরিচালক সৈয়দ জহুরুল ইসলাম, মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন, পুলিশ সুপার মাসুদ আলম, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুনীর চৌধুরীসহ অনেকেই।
পরে প্রতিমন্ত্রী ও আগত অতিথিরা শিবচর উপজেলার বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে অংশ নেন ও দেশের প্রথম স্মার্ট উপজেলার কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।