নৌকা ছাড়া কেন্দ্রে ৭ প্রার্থীর এজেন্ট নেই

বগুড়া-৬ এবং ৪ আসনের উপনির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি দুপুরও বাড়েনি। সকাল থেকে কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তারা অলস সময় পার করছেন। এর মধ্যেই স্বতন্ত্র প্রার্থীদের অনেকে অভিযোগ করেছেন, ভোট কেন্দ্র থেকে তাদের এজেন্টদের জোর করে ‘তাড়িয়ে’ দেওয়া হচ্ছে। যদিও নৌকার প্রার্থী রাগেবুল আহসান বলছেন, বগুড়া-৬ আসনে নির্বিঘ্নে ভোট হচ্ছে। কোনো এজেন্টেক বের করে দেওয়ার অভিযোগ মিথ্যা।

সদর আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী (ট্রাক) আবদুল মান্নান সমকালকে বলেন, নৌকার লোকেরা আমার ভোটারদের কেন্দ্রে যেতে বাধা দিচ্ছে, কিছু কেন্দ্র থেকে এজেন্ট বের করে দিয়েছে।

কেন্দ্র দখলের বিষয়ে বগুড়া-৬ আসনের ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল মান্নান অভিযোগ করেন, বগুড়া সদর আসনের ৭৮টি কেন্দ্র যুবলীগ দখল করেছে।

বগুড়া সদরের, ভবানীগন্জ উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র ১১ প্রার্থীর মধো নৌকা আর লাঙ্গলের এজেন্ট পাওয়া গেছে। অন্যদের এজেন্ট কেন নেই জানতে চাইলে প্রিজাইডিং অফিসার আবু রায়হান বলেন, অন্যরা এজেন্ট দেননি।

বগুড়া সদর আসনের বগুড়া জিলা স্কুলে গিয়ে দেখা যায়, কেন্দ্রে ভোটার নেই বললেই চলে। হটাৎ দুএকজন ভোটার আসছেন ভোট দিতে। তাদের মধ্যে পুরুষ বেশি। এই কেন্দ্রে মোট ভোটার ২ হাজার ৭২ জন। দুপুর ২ টা পর্যন্ত সেখানে ভোট দিয়েছেন ১৩১ জন।

এই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা কার্তিক চন্দ্র দেবনাথ জানান, বিকেলে ভোটার বাড়বে।

বগুড়া- ৪ আসনের কহুলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মোট ভোটার ২ হাজার ৩৪৮ জন। এর মধ্যে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৩২১টি। তবে বগুড়া-৬ আসনের চেয়ে বগুড়া-৪ আসনে ভোটার বেশি দেখা যায়।

হিরো আলম সমকালকে বলেন, ‘বগুড়া-৪ আসনে সুষ্ঠু ভোট হচ্ছে। বগুড়া-৬ আসনের বিষয়ে জানি না।’

এ দিকে বগুড়া-৬ আসনে আপেল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও জেলা সচেতন নাগরিক কমিটির সভাপতি মাসুদার রহমানও অভিযোগ করেছেন, ভোট কেন্দ্র থেকে তার এজেন্টকেও বের করে দেওয়ার।

তবে বগুড়া-৬ এবং ৪ আসনের রিটার্নিং কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, দুই আসেনর সব কেন্দ্রে সুষ্ঠু ভোট হচ্ছে।