ভাসমান সেতুতে বিদ্রোহী সাহিত্য পরিষদের চড়ইভাতি অনুষ্ঠিত

বিদ্রোহী সাহিত্য পরিষদের (বিএসপি) চড়–ইভাতি শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) মণিরামপুর রাজগঞ্জের ভাসমান সেতুতে অনুষ্ঠিত হয়েছে। কবিতা পাঠ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অনুভূতি এবং বিভিন্ন খেলাধূলায় উপভোগ্য এ চড়–ইভাতিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলা একাডেমির পুরষ্কারপ্রাপ্ত কবি ও প্রাবন্ধিক হোসেনউদ্দিন হোসেন। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যশোর ইন্সটিটিউটের সাধারণ সম্পাদক ডা. আবুল কালাম আজাদ লিটু, বিশিষ্ট কলামিস্ট আমিরুল ইসলাম রন্টু।

চড়–ইভাতি উদযাপন পরিষদের আহবায়ক কবি মোস্তফা কামাল দাদুর সভাপতিত্বে বিভিন্ন পর্যায়ে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন দোতনা সাহিত্য পরিষদের সভাপতি. ড. শাহনাজ পারভীন, মুক্তেশ^রী সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদের সভাপতি ডা. মোকাররম হোসেন, দোতনা সাহিত্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়ার সোহেল, সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কাজী রকিবুল ইসলাম, সাবেক সভাপতি এডিএম রতন, কবি জাহানারা খান কোহিনূর, বিদ্রোহী সাহিত্য পরিষদের সভাপতি আহমদ রাজু, সহসভাপতি আমির হোসেন মিলন, নূরজাহান আরা নীতি, সহ-সাধারণ সম্পাদক সোনিয়া সুলতানা চাপা, সাংগঠনিক সম্পাদক রবিউল হাসনাত সজল, কোষাধ্যক্ষ আবুল হাসান তুহিন, অফিস সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান, নির্বাহী সদস্য আহমেদ মাহাবুব ফারুক, রাজপথিক, কাজী নূর, রাজগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন, বীরমুক্তিযোদ্ধা ডা. আহাদ আলী, কবি হোসেন উদ্দিন, কবি মশিয়ার রহমান খান, আব্দুর রশিদ খান, আলমগীর হোসেন হিমেল, মুস্তাক মোহাম্মদ প্রমুখ।

বিএসপির সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা মুন্না পরিচালনায় চড়–ইভাতিতে বিভিন্ন শিল্পীরা সঙ্গীত পরিবেশন করেন।
চড়–ইভাতির শুরুতেই ফুল দিয়ে সবাইকে বরণ করেন বিদ্রোহী সাহিত্য পরিষদের উপদেষ্টা আমিরুল ইসলাম রন্টু। এরপর বাঙালির ঐতিহ্যের কলাপাতায় খেজুরের রসের পায়েস দিয়ে কার্যক্রম শুরু হয় এবং পুরষ্কার বিতরণের মধ্যে দিয়ে শেষ হয় চড়ুইভাতি।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হোসেনউদ্দিন হোসেন বলেন, বাঙালি ও সাহিত্যের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে চড়–ইভাতি। জীবনের প্রয়োজনে মাঝে মধ্যে কোলাহল থেকে বেরিয়ে এসে এরকম চড়–ইভাতি করতে হবে। আগামী প্রজন্মকে সঠিক সংস্কৃতির নির্দেশনা দেয়ার জন্য অংশ নেয়া বাধ্যতামূলক হয়ে দাঁড়িয়েছে।