স্থায়ী জামিন পেলেন ফখরুল–আব্বাস

রাজধানীর নয়াপল্টনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় করা মামলায় স্থায়ী জামিন পেয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। আজ বুধবার বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম গোলাম মোস্তফা ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মাজু মিয়া। অন্যদিকে বিএনপির দুই নেতার পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন ও সগীর হোসেন লিয়ন।

গত বছরের ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির গণসমাবেশ সামনে রেখে ৭ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় পরদিন ৮ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে বাসা থেকে আটক করে পুলিশ। পরে তাদের সংঘর্ষের ঘটনায় পল্টন থানায় করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। তবে এ মামলার এজাহারে মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসের নাম ছিল না।

পরে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসের জামিন আবেদন করেন। তিনবার তাদের জামিন আবেদন নাকচ হয়। পরে উচ্চ আদালতে যান তারা।

গত ৩ জানুয়ারি বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুল জারি করে মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে ছয় মাসের জামিন দেন। পরে রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করে। আপিল বিভাগ ৮ জানুয়ারি হাইকোর্টের দেওয়া ছয় মাসের জামিন বহাল রেখে জামিন প্রশ্নে জারি করা রুল ৩০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দেন। পরে এক মাস কারাভোগের পর গত ৯ জানুয়ারি অন্তর্বর্তীকালীন জামিনে মুক্তি পান ফখরুল ও আব্বাস।