জাহাজে করে সৌদি যেতে হজযাত্রীদের ১০ দিন লাগবে

কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে সেন্ট মার্টিনে পর্যটক আনা-নেওয়া করা কর্ণফুলী শিপ বিল্ডার্স লিমিটেড এবার জাহাজে করে সৌদি আরবে হজযাত্রী পাঠানোর প্রস্তাব দিয়েছে।

বাংলাদেশের হজযাত্রীদের জন্য সমুদ্রপথে জাহাজ নামাতে চায় এ প্রতিষ্ঠান। কর্ণফুলী শিপ বিল্ডার্স লিমিটেড বলছে, চট্টগ্রাম বন্দর থেকে সৌদি আরবের জেদ্দাবন্দরে যেতে জাহাজে সময় লাগবে ১০ দিন।

যাওয়া-আসা ও হজের আনুষ্ঠানিকতা মিলিয়ে একজন হজযাত্রীর মোট সময় লাগবে ৩৭ দিন। জাহাজে গেলে উড়োজাহাজের চেয়ে এক থেকে দেড় লাখ টাকা খরচ কম হবে।

সমুদ্রপথে জাহাজ চলাচলের অনুমতি দিতে প্রতিষ্ঠানটি নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছে। গত ২৯ জানুয়ারি প্রস্তাবটি নিয়ে সচিবালয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা হয়।

নৌপরিবহণ সচিব মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে সভায় সমুদ্রপথে হজযাত্রী নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে মতামত আসে। কেউ কেউ জাহাজে করে হজ করতে যাওয়াকে ইতিবাচক বলেছেন। নানামুখী চ্যালেঞ্জের কথাও তুলে ধরেছেন কেউ কেউ। সমুদ্রপথে সৌদি আরব সরকার অনুমতি দেবে কিনা, তা-ও নিশ্চিত নয়।

নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, সভায় সিদ্ধান্ত হয়, প্রস্তাবটি প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হবে। সেখান থেকে ইতিবাচক সাড়া পাওয়া গেলে সৌদি সরকারের সঙ্গে আলোচনা শুরু হবে। দেশটি রাজি হলে তখন অন্যান্য প্রক্রিয়া শুরু হবে।

নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, আশির দশকে বাংলাদেশ থেকে জাহাজে করে সৌদি আরবে যেতেন হজযাত্রীরা। তখন জাহাজে করে যেতে-আসতে সময় লাগত তিন মাস। একপর্যায়ে তা বন্ধ হয়ে যায়।

নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, একমাত্র সুদানের মানুষ ২০১৮ সাল থেকে সমুদ্রপথে হজযাত্রা করছেন।