বিএনপি গণতন্ত্রের পথে প্রতিবন্ধকতা : তথ্যমন্ত্রী

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বাংলাদেশে নিরবচ্ছিন্নভাবে গণতন্ত্র চর্চার পথে গণতান্ত্রিক রীতিনীতি ও গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থাকে আরো গভীরে প্রোথিত করার ক্ষেত্রে বিএনপি হচ্ছে একটি প্রতিবন্ধকতা।

সোমবার দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী।

এ সময় তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘প্রকৃতপক্ষে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবরা গণতন্ত্রকে হত্যার অপচেষ্টায় লিপ্ত এবং সেই অপচেষ্টার অংশ হিসেবেই তারা ২০১৪ সালে নির্বাচন প্রতিহত করার চেষ্টা চালিয়েছিল। ২০১৮ সালের নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার সমস্ত প্রচেষ্টা তারা চালিয়েছে। তারা আসলে গণতন্ত্রকে হত্যা করতে চায় বলেই সেটিকে ঢাকার জন্য নানা ধরনের বক্তব্য রাখে।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বাংলাদেশে আর তত্ত্বাবধায়ক সরকার হবে না। বর্তমান সরকারই নির্বাচনকালীন সরকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে এবং পৃথিবীর সমস্ত সংসদীয় গণতান্ত্রিক দেশে যেভাবে নির্বাচন হয় আমাদের দেশেও ঠিক একইভাবে নির্বাচন হবে। ভারত, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, নিউজিল্যান্ড এবং যুক্তরাজ্যে, কন্টিনেন্টাল ইউরোপের বিভিন্ন দেশে চলতি সরকারই নির্বাচনকালীন সরকারের দায়িত্ব পালন করে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকালীন সময়ে সরকার পদত্যাগ করে না।’

তত্ত্বাবধায়ক সরকার শুধু পাকিস্তানে আছে এবং উনারা পাকিস্তানকে পছন্দ করেন তো সে জন্য পাকিস্তানের অনুকরণে বাংলাদেশে তারা চাইলেও কোন কিছু হবে না বলেও মন্তব্য করেন তথ্যমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘বিএনপির মুখে ‘বর্তমান সরকারের পতন ছাড়া ঘরে ফিরবে না’ এটা ১৪ বছর থেকে শুনছি। সেটি করতে গিয়ে দেখা গেল বিএনপিই জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে, জনগণের কাছে বিএনপির পতন হয়ে গেছে।’

শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদের ৩৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রত্যেক শিশুরই যেন জীবনের একটি স্বপ্ন থাকে এবং সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে নিরন্তর প্রচেষ্টাই হবে তার জীবনের লক্ষ্য পূরণের চাবিকাঠি। অভিভাবক এবং শিক্ষকদের এ বিষয়ে যত্ন নেওয়া একান্ত প্রয়োজন।

শেখ রাসেল স্মরণে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘মাত্র ১০ বছর বয়সে শেখ রাসেলকে হত্যা করা হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর যেমন অনেক মানবিক গুণাবলী ছিল, তিনি যেমন একেবারে কৈশোর থেকে অপরের জন্য হাত প্রসারিত করেছিলেন, নিজের শার্ট স্কুলে থেকে আসার সময় অন্যজনকে দিয়েছিলেন, নিজের ছাতা আরেকজনকে দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর বাবা শেখ লুৎফর রহমান যেমন নিজেদের গোলার ধান অন্যদেরকে দিয়ে দিয়েছিলেন, ঠিক একই রকম গুণাবলী শেখ রাসেলের মধ্যে ছিল।