ন্যাটোর প্রশংসা করলেন বাইডেন, পুতিন দায়ী করলেন পশ্চিমাদের

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায় পশ্চিমা গণতন্ত্রের প্রশংসা করলেও ভ্লাদিমির পুতিন আগের চেয়ে কঠোর ভাষায় ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য পশ্চিমাদেরই দায়ী করেছেন।

শুক্রবারই বর্ষপূর্তি হবে ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের। তার আগে গুরুত্বপূর্ণ অনেকগুলো ঘটনা ঘটেছে চলতি সপ্তাহে।

পুতিনের দাবি, পশ্চিমারা ইউক্রেনকে একটি নতুন নাৎসি রাজত্বে পরিণত করেছিল, যেটি ছিল ‘রাশিয়া-বিরোধী’। এর কয়েক ঘণ্টা পর বাইডেন তার ভাষণে বলেন, স্বৈরশাসকরা একটি শব্দই বুঝতে পারে, তা হলো- “না, না না!”

তিনি বলেন, পুতিন ভেবেছিলেন বিশ্ব গুটিয়ে যাবে, তিনি ভুল ভেবেছিলেন। ন্যাটো এখন আগের চেয়েও বেশি ঐক্যবদ্ধ। কিয়েভ শক্তভাবে দাঁড়িয়েছে এবং মুক্ত। আর ইউক্রেনের জন্য পশ্চিমাদের সহায়তা ব্যর্থ হবে না।

পোল্যান্ডের রাজধানী ওয়ারশোতে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে স্বাগত জানিয়ে দেশটির প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেই ডুডা বলেছেন, কিয়েভ সফরে এসে মিস্টার বাইডেন প্রমাণ করেছেন যে, মুক্তবিশ্ব কাউকে ভয় পায় না। ন্যাটোর ভূমিকা হলো মুক্তবিশ্বকে সুরক্ষা দেওয়া ও সমর্থন করা। ইউক্রেন ‘অবশ্যই যুদ্ধে জয়লাভ করবে’।

অন্যদিকে, পুতিনের বক্তৃতায় ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর অগ্রগতির বিষয়টি ছিল খুবই কম। কবে এই যুদ্ধ শেষ হবে তারও কোনো ইঙ্গিত ছিল না।

পুতিন যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে ‘নিউ স্টার্ট’ নামের চুক্তিটি স্থগিত করেছেন। দেশ দুটির মধ্যে এটিই একমাত্র পরমাণু অস্ত্র সীমিতকরণ চুক্তি।

২০২১ সালে এটির মেয়াদ ৫ বছরের জন্য বাড়ানো হয়েছিল। ন্যাটো ও যুক্তরাজ্যের নেতারা বিষয়টি পুনর্বিবেচনার জন্য তাকে অনুরোধ করেছেন। তবে পুতিন নতুন প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মোতায়েনের ঘোষণা দিয়েছেন। গত বছর অবশ্য তিনি রাশিয়া ও এর ভূখণ্ডকে রক্ষার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছিলেন।

এদিকে, ইউক্রেনে কোনো পশ্চিমা সেনা মোতায়েন না করা হলেও মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতকে তলব করে নিয়ে ‘যুক্তরাষ্ট্র-ন্যাটোর মিলিটারি ও উপকরণ’ ইউক্রেন থেকে প্রত্যাহার করে নিতে বলেছেন তিনি।

পুতিন অতীতে অসংখ্যবার পশ্চিমা দেশসমূহ এবং ন্যাটোকে ইউক্রেনে হামলার জন্য দায়ী করে বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি রুশ সেনাদের ইরাক যুদ্ধ ও ব্রেলগ্রেডে বোমা বর্ষণের কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু সিরিয়ার যুদ্ধের রাশিয়ার ভূমিকা বা জর্জিয়ায় আগ্রাসন কিংবা ক্রাইমিয়ার ভূমি দখল নিয়েে কিছু বলেননি।