মণিরামপুরের মুড়াগাছা গ্রামের এক কিশোরীকে ভারতে পাচারের ঘটনায় আটক আসামি আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। আটক ধর্ম দুলাভাই আবু সাইদ ওই কিশোরীকে দুই লাখ টাকায় বিক্রি করে দিয়েছিল দালালদের কাছে। পরে বিএসএফ তাদের ধরে বিজিবির মধ্যে দেশে ফেরত দিয়েছে। এ ঘটনার সাথে তারা তিনজন জড়িত ছিল। মঙ্গলবার আদালতে দেয়া জবানবন্দিতে এ তথ্য জানিয়েছে আটক আবু সাইদ। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মঞ্জুরুল ইসলাম আসামির এ জবানবন্দি গ্রহন শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন। আসামি আবু সাইদ শার্শার দক্ষিন বরুজবাগান গ্রামের বাসিন্দা।
আবু সাইদ জানিয়েছে, ১০/১২ বছর আগে ওই কিশোরীর পরিবারে সাথে তার ধর্ম আত্মীয়তা ও বাড়িতে যাতায়ত। গত ১৫ এপ্রিল দুপুরে মুড়াগাছা বাজারে দেখা হয় ওই কিশোরীরর সাথে। জামা কিনে দেয়ার কথা বলে ওই দিন তাকে চৌগাছা পরে তার জামাইয়ের মাধ্যমে মহেশপুর সিমান্তে নিয়ে যাওয়া হয়। রাতে দালালের কাছে ওই কিশোরীকে দুই লাখ টাকায় বিক্রি করা হয়। সিমান্ত পার হয়ে ভারতে যাওয়ার সময় বিএসএফ তাদের ধরে বিজিবির কাছে সোপর্দ করে। বিজিবি কিশোরীকে তার পরিবারের জিম্মায় দিয়ে দেয়।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, ১৫ এপ্রিল দুপুরে মুড়াগাছা বাজারে মিষ্টি কিনতে যেয়ে আবু সাইদের সাথে ওই কিশোরী দেখা হয়। এরপর জামা কিনে দেয়ার কথা বলে প্রথমে চৌগাছা পরে মহেশপুর সিমান্ত দিয়ে ভারতে পাচার করেছিল আবু সাইদ। এ ঘটনায় আবু সাইদ ও তার জামাই শিমুলকে আসামিকে মণিরামপুর থানায় মামলা করে কিশোরীর পিতা। মঙ্গলবার আটক আবু সাইদ ও কিশোরীকে আদালতে সোপর্দ করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। আসমি আব্দু সাইদ কিশোরীকে পাচারের কথা স্বীকার করে আদালতে ওই জাবানবন্দি দিয়েছে।