যশোরের শার্শা উপজেলায় কয়েক মিনিটের হালকা কালবৈশাখী ঝড়ে আম চাষীরা ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে। বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) বিকাল ৫ টার সময় কালবৈশাখী ঝড়ে এই এলাকা আম বাগান গুলো একেবারে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে।
অধিকাংশ আম বাগানে ৪০ (চল্লিশ) থেকে ৫০ (পঞ্চাশ) শতাংশ আম ঝরে পড়ে গেছে, ঝরে পড়া আম দেখে মনে হচ্ছে আম দিয়ে প্রকৃতিতে চাদর বিছিয়েছে। অধিকাংশ বাগানে আম পড়ে নষ্ট হয়ে গেছে। ঝরে পড়া আম দেখে মাথায় হাত উঠেছে এখানকার আম চাষীদের।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী শার্শা উপজেলায় চলতি মৌসুমে ৯ হাজার হেক্টোর জমিতে আমের বাগান রয়েছে। এখানে ৩ হাজার ১ এক’শ ৪০ টির মতো ছোট বড় আম বাগান রয়েছে। এর মধ্যে উপজেলা ব্যাপী প্রায় সব বাগানে কালবৈশাখী ঝড় হানা দিয়েছে।
আমবাগান চাষী নুর আলী সরদার জানান, বৃহস্পতিবার বিকালে ঝড়ে তার বাগানের বিভিন্ন জাতের প্রায় সবগুলো আম পড়ে নষ্ট হয়ে গেছে। এতে তার ৩০ (ত্রিশ) থেকে ৩৫ (পয়ত্রিশ) লক্ষ্য টাকার মতো ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
একই কথা জানান, উপজেলার বাগুড়ী গ্রামের আম চাষী মোঃ সহিদুল ইসলাম তিনি জানান, গত দুই বছর আগে আমফান ঝড়ে আমার অনেক লোকসান হয়েছিলো। এবছর স্বপ্ন ছিল আমের ভালো দাম পাবো, কিন্তু কালবৈশাখী ঝড়ে আমার স্বপ্ন ভেঙে খানখান হয়ে গেলে।
শার্শা উপজেলা কৃষি (কর্মকর্তা) প্রতাপ কুমার মন্ডল জানান, ঝড়ে এ উপজেলাতে আম চাষিদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। আম ঝরে পড়ায় আম চাষীদের অনেক লোকসান হতে পারে। তবে কালবৈশাখী ঝড়ের কবলে যদি আম চাষীদের আর পড়তে হয়, তাহলে কিছুটা ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবেন, তবে ঝড়ে কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা একুনি বলা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানান ওই কৃষি কর্মকর্তা।