ফেসবুকে পরিচয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে ধর্ষন, যশোরে যুবক গ্রেফতার

ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয়ের সূত্রধরে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী (২৫)কে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে বিভিন্ন স্থানে একাধিক বার ধর্সনের অভিযোগে সুদীপ্ত হাসান দ্বীপ (২৮) নাকে এক যুবকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। বুধবার দিবাগত গভীর রাতে মামলাটি করেন,পাবনা জেলার ঈশ^রদী থানার দাশুরিয়া গ্রামের এক প্রাইভেট বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। মামলায় আসামী করেন,যশোর শহরের পুরাতন কসবা ( ঘোষপাড়া ঢাকা রোড) এলাকার তৈমুর হোসেনের ছেলে সুদীপ্ত হাসান। পুলিশ ধর্ষক সুদীপ্ত হাসানকে গ্রেফতার করে বৃহস্পতিবার আদালতে সোপর্দ করেছেন।

মামলায় বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী উল্লেখ করেন, সুদীপ্ত হাসানের সাথে বাদির বিগত ৬ বছর পূর্বে ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয়। যুবক সুদীপ্ত হাসানের সাথে পরিচয় সুবাদে তখন হতে সুদীপ্ত বিভিন্ন সময় তার মোবাইল নম্বর দিয়ে বাদির ব্যবহৃত মেবাইল নাম্বারে ফোন দিয়ে বিয়ের প্রস্তাবসহ বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে আসছে। এক পর্যায় সুদীপ্তর সাথে বাদির সু-সম্পর্ক সৃস্টি হয় এবং বাদিকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাদির সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। উক্ত যুবক গত ২০২১ সালের ৩১ মে সন্ধ্যা ৭ টায় যশোর পালবাড়ী এলজিইডি ভবনের বিপরীত পাশে জনৈক অমি এর বাড়ির ভাড়াটিয়া বিল্ডিং এর দ্বিতীয় তলার রুমে বাদিকে নিয়ে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে জোর পূর্বক ধর্ষন করে।

সর্বশেষ গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর সুদীপ্ত বাদিকে রাঙ্গামাটি জেলার সাজেকে ভ্রমনের উদ্দেশ্যে নিয়ে যায। সেখানে রিলাক্স সাজেক রিসোর্টে রাত্রিযাপন করার জন্য অবস্থান করেন। ১৬ সেপ্টেম্বর রাত সোয়া ১০ টার সময় রিলাক্স সাজেক রিসোর্টে বাদিকে ধর্ষন করে।

পরদিন ১৭ সেপ্টেম্বর বিকেল ৫ টা হতে ১৮ সেপ্টেম্বর ভোর ৭ টা পর্যন্ত রাঙ্গামাটি জেলায় রুই লুই কুইন রিসোর্টে অবস্থান কালিন সময়ে সুদীপ্ত হাসান দ্বীপ বাদিকে একাধিকবার ধর্ষন করে। উক্ত যুবকের পিতা তৈমুর হোসেন এবং মা শামীমা আক্তার ছায়াকে বাদির সাথে ঘটে যাওয়া ধর্ষন এবং বিষয় বললে তারা বাদিকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করাসহ বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি ও হুমকী দেয়। সর্বশেষ বাদি গত ১৯ এপ্রিল বিকেল ৫ টার সময় বাদির মোবাইল দ্বারা সুদীপ্ত মোবাইল নাম্বারে ফোন দিয়ে বাদিকে বিয়ে করে তুলে নিতে বললে সুদীপ্ত হাসান বাদিকে বিয়ে করবে না জানিয়ে বাদিকে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি প্রদশন করে।

বিষয়টি বাদি তার পরিবারের ও নিকটতম স্বজনদের সাথে আলাপ আলোচনা করে কোতয়ালি থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বৃহস্পতিবার ৪ মে সকালে যশোর শহরের জেলরোড ইবনে সিনা হাসপাতালের সামনে থেকে সুদীপ্ত হাসান দ্বীপকে গ্রেফতার করে। পরে তাকে আদালতে সোপর্দ করে।