যশোরে দুই নারীকে মারপিটের ঘটনায় মামলা

পূর্ব শত্রুতার কারনে দুই নারীকে গালি গালাজের এক পর্যায় মারপিট ও স্বর্ণালংকর নিয়ে নেওয়ার ঘটনায় কোতয়ালি থানায় দুই নারীসহ ৪ জনের নাম উল্লেখ করে শুক্রবার ৫ মে রাতে মামলা হয়েছে। মামলাটি করেন যশোর শহরের ঘোপ জেল রোড এলাকার মৃত মতলেব আলীর ছেলে মনির হোসেন। মামলায় আসামীরা হচ্ছে, একই এলাকার মৃত হযরত আলীর মেয়ে মোছাঃ হাওয়া বেগম ওরফে নাছিমা, ইসমাইল হোসেনের স্ত্রী মোছাঃ লাখি বেগম, ইসমাইল হোসেনের ছেলে আলিফ, মৃত হযরত আলীর ছেলে শুকুর আলীসহ অজ্ঞাতনামা ২/৩জন।

মামলায় বাদি উল্লেখ করেন, গত ৫ মে শুক্রবার বেলা ১১ টায় বাদির ফুফু শ্বাশুড়ী শহরের ঘোপ সেন্ট্রাল রোডের মৃত সদার স্ত্রী তছি বেগম (৫৫) ঘোপ পিলুখান রোড বুড়ির বাগান সংলগ্ন জনৈক আসলাম মিয়ার বাড়ীর সামনে বাদির ক্রয়কৃত জমিতে বেড়াতে গেলে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে উল্লেখিত আসামীরা বাদির ক্রয়কৃত জমিতে অনধিকার প্রবেশ করে বাদির ফুফু শ^াশুড়ী তছি বেগমকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করাসহ বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি ও হুমকী প্রদান করতে থাকে।

খবর পেয়ে বাদির স্ত্রী মোছাঃ রেশমা বেগম (২৫) সেখানে যেয়ে প্রতিবাদ করলে আসামীরা বাদির স্ত্রীকেও অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে এবং শুকুর আলীর হুকুমে মোছাঃ হাওয়া বেগম কাঠের তৈরী ক্রিকেট খেলার স্ট্যাম্প দিয়ে বাদির স্ত্রী রেশমা বেগমকে খুন করার উদ্দেশ্যে মাথায় আঘাত করতে গেলে বাদির স্ত্রী উক্ত আঘাত তার বাম হাত দিয়ে ঠেকালে বাম হাতে লেগে গুরুতর হাড় ভাঙ্গা জখম হয়। লাখি বেগম ও আলিফসহ অজ্ঞাতনামা আসামীরা হাতে লাঠি সোটা দিয়ে রেশমা বেগমের শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারপিট করে নীলা ফোলা জখম করে।

আলিফ বাদির স্ত্রীর গলায় থাকা ১ ভরি ওজনের স্বর্ণের চেইন টান দিয়ে ছিড়ে নেয়। শুকুর আলী বাদির স্ত্রীর পরনের কাপড় চোপড় টানাহেচড়া করে শ্লীলতাহানী ঘটায়। বাদির স্ত্রী জীবন বাঁচানোর জন্য ডাক চিৎকার দিলে বাদি ও স্থানীয় লোকজনসহ আশপাশের অনেকে এগিয়ে গেলে আসামীরা বাদিদের প্রকাশ্যে হত্যার হুমকী দিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় বাদির স্ত্রী মোছাঃ রেশমা বেগমকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।