বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবায় দেশের মানুষ খুশি, আমরাও খুশি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

jahid malek
ফাইল ছবি

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, সরকারি হাসপাতালে বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা চালু করায় দেশের মানুষ খুশি হয়েছে। এজন্য আমরাও খুশি।

মঙ্গলবা দুপুরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে নতুন করে দেশের ১৩২টি সরকারি হাসপাতালে বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা বৃদ্ধি সংক্রান্ত বিষয়ে অবহতিকরণ সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা আগের ৫১টি হাসপাতাল থেকে বাড়িয়ে নতুন ১৩২টি হাসপাতালসহ মোট ১৮৩টি হাসপাতালে চালু করা হলো। নতুন ১৩২টি হাসপাতালের মধ্যে নিউরোসায়েন্স হাসপাতাল, হৃদরোগ হাসপাতাল, জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানের (নিটোর) মতো রাজধানীর ৪টি বড় হাসপাতাল যুক্ত হওয়ায় দেশের মানুষ আরো অনেক বেশি সেবা পাবে।

বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত ঢাকার বাইরে ৫১টি হাসপাতাল থেকে ৭ হাজার ৪৬৩ জন সাধারণ রোগী সেবা নিয়েছেন। এর মধ্যে ৩২টি হাসপাতাল থেকে আরও ৪৫৪টি অপারেশন করা হয়েছে। এর বাইরে ২ হাজার ৫৯৭টি ইনভেস্টিগেশন করা হয়েছে বলে ব্রিফিংকালে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

এসব সেবা থেকে সরকারি কোষাগারে ৫১ লাখ টাকা জমা হয়েছে। এ টাকা থেকে চিকিৎসকদের ফি বণ্টন করে দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

ব্রিফিংকালে ঢাকার ৪ হাসপাতালের পরিচালকসহ ঢাকার বাইরের হাসপাতালগুলোর প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন সমাজকর্মী, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ ভার্চুয়ালি অংশ নেন।

কুমিল্লার চান্দিনা হাসপাতাল থেকে ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত বলেন, বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা চালুর সিদ্ধান্ত যে কতটা ভালো হয়েছে, তা আমরা স্থানীয় জনগণের সঙ্গে কথা বলে বুঝতে পারছি। এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান তিনি।

সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হাসপাতালের প্রতিনিধিদের কথা শোনেন, প্রস্তুতি নিয়ে পরামর্শ দেন এবং বৈকালিক সেবা দিতে যেন কোনো অনিয়ম না হয় সে ব্যাপারে সতর্ক করেন।

ডেঙ্গু রোগী বৃদ্ধি পাওয়া প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, জানুয়ারি থেকে ৩ হাজার ৩৯০ জন রোগী সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে এবং ২৬ জন মারা গেছে। ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে দেশবাসীকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন তিনি।

ব্রিফিংকাল স্বাস্থ্য সেবা সচিব ড. মুঃ আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ইউসুফসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।