প্রাত্যহিক কাজের ব্যস্ততায় নিজেদের যত্ন নিতে ভুলে যাই আমরা। খাবারে অনিয়ম, ঘুমে অনিয়ম, ক্লান্তি সবমিলিয়ে আমাদের শারীরিক অবস্থা ভালো থাকে না।
তবে কী একটুখানি সচেতন থাকা আর কিছু নিয়ম মেনে চললে ৬৫ বয়সের পরেও আমরা থাকতে পারি একেবারে ফিট! তাহলে আসুন জেনে নিই সুস্থ থাকার কয়েকটি উপায়।
একদিনে পাঁচ হাজার স্টেপ হাঁটার চেষ্টা করুন।
স্বাস্থ্যের পক্ষে খাবার যতটা জরুরি, ততটাই জরুরি প্রতিদিন হাঁটাচলা করা। খাবার খাওয়ার পর কিছুক্ষণ হাঁটা উচিত।
সকালে আধঘণ্টা জোর কদমে হাঁটলে উপকার পেতে পারেন। সকালে সময় না পেলে রাতে খাবার খাওয়ার পর আধঘণ্টা অবশ্যই হাঁটুন।
সুস্থ থাকার জন্য আট থেকে ১০ গ্লাস পানি পান করা উচিত। এতে আপনাকে হাইড্রেট রাখবে ও খাবার হজম করতেও সাহায্য করবে। বেশি পানি পান করলে আপনার শরীরের টক্সিন দূর হবে। আবার কম পানি পান করলে কোষ্ঠকাঠিন্য, ত্বকে শুষ্কভাব ও কিডনির সমস্যা দেখা দিতে পারে।
ভুলেও প্রাতঃরাশ বাদ দেবেন না। ভরপেট প্রাতঃরাশ করলে সন্ধ্যা পর্যন্ত এনার্জেটিক অনুভব করবেন।
রাতে কম খাবার খাওয়া অভ্যাস করুন। রাতে কম খাবার খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে। কারণ রাতে হজমের জন্য শরীরকে সবচেয়ে বেশি পরিশ্রম করতে হয়। তাই রাতে হালকা ও কম খাবার খাওয়া উচিত।
চা ও কফি কম পান করলে শরীর সুস্থ থাকে। অনেকেই অভ্যাসবশত চা ও কফি পান করে থাকেন। কিন্তু সুস্থ থাকতে হলে কম পান করবেন। বেশি পান করলে শরীরের ক্ষতি হয়।
চা ও কফির পরিবর্তে গ্রিন টি শরীরের পক্ষে অধিক উপকারী। এটি শরীরের মেটাবলিজম বাড়াবে ফলে হজম দ্রুত হবে। এর ফলে শরীরে জমে থাকা টক্সিন দ্রুত শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। তাই দিনে দুইবার মধু মিশিয়ে গ্রিন টি পান করুন।
ফাস্টফুড খেতে অনেকেই ভালোবাসেন। কিন্তু এই খাবারগুলো শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর। এতে অধিক পরিমাণে ক্যালরি থাকে। তাই ফাস্টফুড ও বাইরের খাবার খাওয়া এড়িয়ে যান। ওজন কমাতে চাইলে তো অবশ্যই এগুলো খাওয়া বন্ধ করুন।
সুস্থ থাকতে মিষ্টি থেকে দূরত্ব বজায় রাখুন।
নেশা করা শরীরের পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্যের পক্ষেও ক্ষতিকর। মদ্যপান ও ধূমপান ফুসফুস ও লিভারের রোগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই সুস্থ থাকতে নেশা থেকে দূরে থাকুন।
নিয়মিত ব্যায়াম করুন। যোগাসন শরীরকে নমনীয় করে ও মানসিক স্বাস্থ্যের পক্ষেও জরুরি। যোগাসন নানান রোগ থেকে মুক্ত রাখতে পারে। মাথা ব্যথা থেকে শুরু ক্যানসারের চিকিৎসায় যোগাসন কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
সর্বোপরি ভালো ঘুম সুস্থ থাকতে জরুরি। যারা রাতে ঠিকমতো ঘুমাতে পারেন না, তারা প্রায়ই কোনো না কোনো রোগে ভুগতে থাকেন। শরীর ও মস্তিষ্ক— উভয় ক্ষেত্রেই ভালো ঘুম প্রভাব বিস্তার করে। পর্যাপ্ত ঘুম না-পেলে রাতে কফি পান করা ও দেরি পর্যন্ত জেগে থাকা বন্ধ করুন। অন্যদিকে অবসাদ এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করুন। ব্রিদিং এক্সারসাইজ ও মেডিটেশন ব্যক্তিকে অবসাদ মুক্ত থাকতে সাহায্য করে।