যশোরে সন্ত্রাসী হামলায় যুবক খুন, গ্রেফতার-১

গ্রীল চুরি করাকে কেন্দ্র করে এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী অপরাধীরা হামলা চালিয়ে কোদালের আচার দিয়ে মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারপিট করে মাসুদ রানা (৩৫)কে হত্যা করেছে। এ সময় মাসুদ রানার সহযোগী জুলফিকার,ই¯্রাফিল হোসেন,সজিব মোল্যা,সুমন হোসেন, মইণ উদ্দিন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ শিমুল হোসেন ওরফে শান্ত (২৫) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে। সে যশোরের অভয়নগর উপজেলার প্রেমবাগ পশ্চিমপাড়া কাটা খালের পাশে হাফিজুর রহমানের ছেলে।

ছেলে খুন ও তার সহযোগীদের আহতর ঘটনায় নিহত মাসুদ রানার মাতা যশোর সদর উপজেলার ১৫ নং বসুন্দিয়া ইউনিয়নের কেফায়েত নগর গ্রামের মৃত সোহরাব বিশ^াসের স্ত্রী মোছাঃ খাদিজা পারভীন শুক্রবার ২৫ আগষ্ট রাতে কোতয়ালি থানায় মামলা করেন। মামলায় ৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো অনেকে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

আসামীরা হচ্ছে, যশোর সদর উপজেলার গাইদগাছি দক্ষিণপাড়া ( তেরঘর ফুলবাড়ী) গ্রামের আবুল হাসানের ছেলে বাবু, অভয়নগর উপজেলার বনগ্রামের আজিজুর রহমান ওরফে আইজের ছেলে মুরাদ হোসেন, অভয়নগর উপজেলার প্রেমবাগ পশ্চিমপাড়া কাটাখালের পাশে হাফিজুর রহমানের ছেলে শিমুল হোসেন ওরফে শান্ত, সদর উপজেলার গাইদগাছি দক্ষিণপাড়া তেরঘরের নূরুল ইসলাম নূরুর ছেলে পিন্টু, অভয়নগর থানার প্রেমবাগ পশ্চিমপাড়া কাটাখালের পাশে শওকত আলী মোল্যার ছেলে আল-আমিন ও অভয়নগর উপজেরার প্রেমবাগ গ্রামের আলী আকবরের ছেলে রাজুসহ অজ্ঞাতনামা আরো অনেকে।

মামলায় বাদি উল্লেখ করেন,তার ছেলে মাসুদ রানা কাঠের ব্যবসা করে জীবিকা নির্বাহ করে। আসামীরা এলাকায় চিহ্নিত সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী চক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা এলাকায় বিভিন্ন অপরাধ মূলক কর্মকান্ড করে বেড়ায়। অভয়নগর থানাধীন বন গ্রাম সুপারী বাগান জামে মসজিদের গ্রীল চুরি করাকে কেন্দ্র করে বাদির ছেলে মাসুদ রানার পরিচিত অভয়নগর থানার চেঙ্গুটিয়া গ্রামের বর্তমানে সদর উপজেলার গাইদগাছী গ্রামের মৃত ইসমাইল খানের ছেলে জুলফিকার আলী (৩০)কে দোষারোপ করে। উক্ত আসামীরাসহ তাদের অজ্ঞাতনামা আসামীরা জুলফিকার আলীকে তার শ^শুর বাড়ি গাইদগাছী আসতে বাঁধা প্রদান করে।

এক পর্যায় জুলফিকার আলী বাদির বাড়িতে আসে। খাওয়া-দাওয়া শেখ করে জুলফিকার আলী ও বাদির ছেলে মাসুদ রানাসহ মাসুদ রানার পরিচিত সঙ্গীয় ই¯্রাফিল হোসেন,সজিব মোল্যা,সুমন হোসেন, মঈন উদ্দিনদেরকে সাথে নিয়ে জুলফিকার তার শ^শুর আকুব্বর গাজীর বসত বাড়িতে যায়। বিষয়টি আসামীরা জানতে পেরে পূর্ব-পরিকল্পিতভাবে গত ২৪ আগষ্ট রাত দেড়টায় জুলফিকার আলীর শ^শুর আকুব্বর গাজীর বাড়ীর মধ্যে অনধিকার প্রবেশ করে বাবুর হুকুমে ও তার নেতৃত্বে সকল আসামীরা বাদির ছেলে মাসুদ রানাসহ তার সহযোগীদের উপর হামলা করে। বাবু ও মুরাদ হোসেনের হাতে থাকা কোদালের আছার দিয়ে মাসুদ রানাসহ সকলকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে।

পরে ভ্যানে তুলে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে কিছুদূর নিয়ে ভ্যান থেকে নামিয়ে পুনরায় মারপিট করে ফেলে রেখে যায়। পরে বাদিসহ তার লোকজন খবর পেয়ে মাসুদ রানাসহ অন্যান্যদের উদ্ধার করে অভয়নগর থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে মাসুদ রানা মারা যায়। অন্যান্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা করা হলে পুলিশ শুক্রবার রাতে এজাহার নামীয় আসামী শিমুল হোসেন ওরফে শান্ত নাকে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে। শনিবার ২৬ আগষ্ট তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। বাকীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।