ডেঙ্গু চিকিৎসায় রোগীপ্রতি সরকারের ব্যয় ৫০ হাজার টাকা

করোনার পর বেড়েছে ডেঙ্গুর প্রকোপ। এ বছর ডেঙ্গু ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। ইতোমধ্যে পাঁচ শতাধিক রোগীর মৃত্যু হয়েছে ডেঙ্গুজ্বরে।

হাসপাতালগুলোতে অনেক ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। এই বছরই ডেঙ্গুরোগীদের চিকিৎসায় সরকারের ৪০০ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। রোগীপ্রতি ব্যয় ৫০ হাজার টাকা।

রোববার রাজধানীর একটি হোটেলে ডেঙ্গু ব্যবস্থাপনা বিষয়ক গোলটেবিল আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

জাহিদ মালেক জানান, আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত হাসপাতালে সেবা নেওয়া মোট রোগীর ৭০ শতাংশ সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। আর ৩০ শতাংশ বেসরকারিতে। সরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গুর চিকিৎসা বিনা মূল্যে দেওয়া হচ্ছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও জানান, দুই ধরনের ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়। অনেকের প্লাটিলেট ও আইসিইউ প্রয়োজন হয়। অনেকেই শুধু ওষুধেই সুস্থ হয়। গড়ে রোগী প্রতি ৫০ হাজার টাকা ব্যয় হচ্ছে। সেই হিসাবে চলতি মৌসুমে প্রায় ৪০০ কোটি টাকা ডেঙ্গু চিকিৎসায় ব্যয় করেছে সরকার।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, চলতি মৌসুমে ১ লাখ ১২ হাজার ১৮৪ জন। তাদের মধ্যে চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ লাখ ৩ হাজার ৪১১ জন। আর মৃত্যু হয়েছে ৫৩৭ জনের। এখনো হাসপাতালে ভর্তি ৮ হাজার ২৩৬ জন।

ডেঙ্গুতে তুলনামূলক নারীর মৃত্যু বেশি হচ্ছে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, নারীরা আক্রান্ত কম হলেও মারা যাচ্ছেন বেশি। পুরুষের প্রায় দ্বিগুণ নারী মারা যান। তারা চিকিৎসা নিতে বিলম্ব করছেন বলেই তাদের মৃত্যু বেশি হচ্ছে। হয়তো তাদের প্রতি ঠিকমতো নজর দেওয়া হচ্ছে না।

তিনি আরও জানান, দেশের মোট হাসপাতালে ভর্তি রোগীর মধ্যে পুরুষ রোগী ৬৫ শতাংশ। ডেঙ্গুতে মৃত্যু রোগীর ৬৫ শতাংশ নারী আর ৩৫ শতাংশ পুরুষ।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, মোট রোগীর ঢাকায় অর্ধেক, সারা দেশে বাকিগুলো। ঢাকায় রোগী নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে অর্ধেক রোগ কমাতে পারব।