পূর্ব শত্রুতার এক পর্যায় চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে মিজানুর রহমান (৩৩) নামে এক ওয়েল্ডিং ব্যবসায়ীকে গতিরোধ কওে ধারালো হাসুয়া দা লোহার রড দিয়ে আঘাত কওে জখম করে নগদ ১ লাখ ৩০ হাজার ৫শ’ টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। শনিবার ২৬ আগষ্ট রাতে মামলাটি করেন, যশোর সদর উপজেলার বাহাদুরপুর উত্তর পাড়ার মৃত ফজলুর রহমানের ছেলে মতিয়ার রহমান। মামলায় আসামী করেন, সদর উপজেলার বাহাদুরপুর পশ্চিমপাড়ার আজিজুর রহমানের ছেলে নয়ন হোসেন ও বাহাদুরপুর প্লটপাড়া ৪নং নওয়াপাড়া ইউনিয়নের জিয়ারুল ইসলামের ছেলে জিল্লুর রহমানসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৩/৪ জন।
মামলায় বাদি উল্লেখ করেন, বাদিও ছেলে মিজানুর রহমান পেশায় একজন ওয়েল্ডিং ব্যবসায়ী। আসামীদের সাথে বাদির ছেলে মিজানুর রহমানের পূর্ব হতে শত্রুতা ও দ্বন্দ্ব চলে আসছে । সেই কারনে আসামীরা বাদির ছেলেকে মারপিট খুন জখম করার জন্য বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্র করতে থাকে। গত ২৬ আগষ্ট শনিবার বিকেল সাড়ে ৪ টায় মিজানুর রহমান দোকান হতে ভ্যান চালক ছোট শেখহাটি গ্রামের ইমন এর অটো ভ্যানে গ্রীল ও জানালা লোড কওে মধুগ্রামে আলমগীর হোসেনের বাড়িতে যাওয়ার পথে মধুগ্রামস্থ সবুজ এর চায়ের দোকানের সামনে পৌছালে পূর্ব শত্রুতার জের ধওে আসামীরা হাতে ধারালের হাসুয়া দা ও লোহার রডসহ বাদির ছেলের পথের গতিরোধ কওে নয়ন হোসেন ধারালো হাসুয়া দা দিয়ে মাথার পিছনে আঘাত কওে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে।
সাথে সাথে জিল্লুর রহমান ধারালো দা দিয়ে মিজানুর রহমানকে খুন করার উদ্দেশ্যে বাম হাতের কবজির উপর আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে। মিজানুর রহমান রাস্তার উপর পড়ে গেলে নয়ন হোসেন মিজানুর রহমানের কাছে থাকা নগদ উল্লেখিত পরিমানের টাকা ছিনিয়ে নেয়। এ সময় মারপিট করতে থাকলে মিজানুর রহমান ডাক চিৎকার করলে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে আসামীরা প্রকাশ্যে হত্যার হুমকী দিয়ে টাকা নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন গুরুতর রক্তাক্ত জখম অবস্থায় বাদির ছেলেকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে দেয়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পুলিশ আসামী কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।