যশোর সীমান্তবর্তী বেনাপোলে রেশমা হত্যার ঘাতক স্বামী আব্দুল সালাম মোড়লকে ১২ ঘন্টার মধ্যে পিবিআই এর একটি চৌকসদল সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর সীমান্ত থেকে গ্রেফতার করেছে। সে শার্শা থানার পাঁচভূলট গ্রামের বর্তমানে ছোট আচড়া গ্রামের জনৈক রাশেদ মাষ্টারের বাড়ির ভাড়াটিয়া জয়নাল আবেদীনের ছেলে। সোমবার ২৮ আগষ্ট তাকে যশোর আদালতে সোপর্দ করলে সে স্ত্রীর হত্যার বর্ণনা করে স্বেচ্ছায় ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন বলে পিবিআই’র এসআই হাবিবুর রহমান জানিয়েছেন।
পিবিআই সূত্রে জানাগেছে,গত রোববার ২৭ আগষ্ট সকাল সাড়ে ৭ টায় হত্যাকারী আব্দুস সালামের বর্তমান ভাড়াটিয়া বাসা বেনাপোলে মামলার বাদি রেশমা খাতুনের বোন রক্তাক্ত মৃতদেহ দেখতে পান। এর পর বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশের কাছে অবহিত করেন। এর পর রেশশা খাতুনের মৃত দেহ যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে মর্গে প্রেরণ করেন। এদিকে পিবিআই যশোর ইউনিটের একটি চৌকসদল ঘটনা অবহিত হয়ে রোববার ২৭ আগস্ট রাত সাড়ে ১০ টায় সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর থানার নূরনগর গ্রামের জনৈক সিরাজুল ইসলামের বসত বাড়িতে অভিযান চালিয়ে আব্দুস সালামকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের পর আব্দুস সালাম মোড়ল প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পিবিআই কর্মকর্তাকে জানান, ভিকটিম মোছাঃ রেশমা খাতুন তার দ্বিতীয় স্ত্রী। অনুমান ১২ বছর পূর্বে ভিকটিম এর সাথে তার বিবাহ হয়।
ভিকটিম রেশমা খাতুনকে বিয়ের সময় ভিকটিম এর পূর্বের স্বামীর ঔরষের একটি পুত্র সন্তান ছিল। তার নাম মোঃ তামিম। বাদীর ঔরষে ভিকটিম এর গর্ভে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। তার নাম তামান্না খাতুন (৫)। অনুমান ৩/৪ বছর পূর্ব হতে ভিকটিম এর সহিত গ্রেফতারকৃত আসামি আব্দুস সালাম এর পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কলহ বিবাদ চলে আসছিল। এমতাবস্থায় গত ২৭ আগষ্ট রাত্র অনুমান ০১.৩০ ঘটিকায় ভিকটিম রেশমা খাতুনের সহিত আব্দুস সালাম এর পারিবারিক বিষয়াদি নিয়ে ঝগড়ার সৃষ্টি হয়। ঝগড়ার একপর্যায়ে আব্দুস সালাম নিজ ঘরে থাকা কুড়াল দিয়ে ভিকটিমের মাথায় স্বজোরে আঘাত করে হত্যা করেছে মর্মে স্বীকার করে।
উক্ত ঘটনা সংক্রান্তে রেশমা খাতুনের ভাই বাদী হয়ে আসামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করলে যশোর বেনাপোল পোর্ট থানার মামলা নং-৩৯, তারিখ : ২৭/০৮/২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ধারা- ৩০২/৩৪ পেনাল কোড রুজু হয়। মামলার তদন্তভার গ্রহণ করে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই(নিঃ) মোঃ হাবিবুর রহমান ঘটনা সংক্রান্তে জড়িত আসামীকে গ্রেফতার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত আসামি ঘটনার সাথে জড়িত মর্মে স্বীকার করলে অদ্য ২৮ আগস্ট সোমবার বিজ্ঞ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, আমালী আদালত, যশোর আদালতের বিজ্ঞ বিচারক বর্ণালী রানী আদালতে আব্দুস সালাম মোড়ল ফৌঃ কাঃ বিঃ ১৬৪ ধারা মোতাবেক স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। মামলার তদন্ত অব্যহত রয়েছে।