দেশের একজন মানুষও না খেয়ে নেই: খাদ্যমন্ত্রী

খাদ্যমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, ‘এক সময়কার ক্ষুধা-দরিদ্রতা ও মঙ্গাপীড়িত বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। দেশের একজন মানুষও এখন না খেয়ে নেই।’

মঙ্গলবার দুপুরে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক, নোয়াখালীর নবনির্মিত ভবন উদ্ভোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ‘বাজারে চাল, ডাল, আটা কোনো খাদ্য সামগ্রীর ঘাটতি নেই। ২০০৮ সালের সঙ্গে ২০২৩ সালের তুলনা করলেই বোঝা যায় দেশের জনগণের ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে। সরকার জনগণের স্বার্থে হাজার হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিয়ে কৃষকদের মাঝে সার বিতরণ করে যাচ্ছে। এ সবই প্রধানমন্ত্রীর চিন্তা ও সাধনার ফল।’

শোকাবহ ১৫ আগস্টের ভয়াবহতার কথা স্মরণ করতে গিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর দেশ অভিশপ্ত হয়েছিল। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় এসে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার কাজ করার পরে দেশ কিছুটা হলেও অভিশাপ মুক্ত হয়েছে। কাজের মধ্যে সততা, নিষ্ঠা ও সৎ উদ্দেশ্য যদি থাকে তাহলে সামনে এগিয়ে যেতে কোনো কিছুই আটকে রাখতে পারে না। আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মধ্যে সততা, নিষ্ঠা ও সৎ উদ্দেশ্য আছে বলেই দেশ আজ উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে।’

সভায় উপস্থিত মিলার ও ডিলারদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘দেশে খাদ্যের নতুন আইন প্রণয়ন হয়েছে। লাইসেন্স ছাড়া কেউ ব্যবসা করবেন না।’ মজুতদারদের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে মন্ত্রী বলেন, ‘কেউ খাদ্য মজুত করে কৃত্তিম সংকটের সৃষ্টি করলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। মজুতদারদের বিরুদ্ধে শিগগিরই অভিযান পরিচালনা শুরু হবে।’

দেশের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে আবারও নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে শেখ হাসিনাকে সরকার গঠন করতে আহ্বান জানান মন্ত্রী। বিএনপির উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘তারা বলেছিল করোনাভাইরাসে দেশে লোকজন তো মারা যাবেই, সেই সঙ্গে না খেয়ে কমপক্ষে দুইলাখ লোক মারা যাবে। কিন্তু একজন লোকও না খেয়ে মারা যাননি। মিথ্যাচার করা যাদের স্বভাব, তারা সবসময়ই মিথ্যাচার করবে।’

নোয়াখালী জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহাবু্বুর রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন খাদ্য সচিব মো. ইসমাইল হোসেন, খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. সাখাওয়াত হোসেন, নিরাপদ খাদ্য অধিদপ্তরের চেয়ারম্যান আব্দুল কাইয়ুম সরকার, নোয়াখালী পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম, নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এইচএম খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিম, নোয়াখালী পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক শহীদ উল্লাহ খাঁন সোহেল।

অনুষ্ঠানটি যৌথভাবে সঞ্চালনা করেন দিলরুবা হাবিব ও মো. জাহাঙ্গীর আলম।