যশোর শহরের লাল দীঘির পাড়ে মোবাইল হার্টে চুরি

যশোর শহরের লালদীঘির পূর্বপাড়ে মোবাইলের দোকান মোবাইল হাটে চুরি হয়েছে। চোরেররা দোকানের সাটারের তালা ভেঙ্গে নগদ টাকা ও মোবাইল ফোনসহ আনুমানিক ৪৭ লাখ ৬৪ হাজার টাকার মালামাল নিয়ে গেছে। চুরির ঘটনা ধরা না পড়ে সে জন্য চোরেররা দোকানের সিসিটিভির ডিভিআর খুলে নিয়ে যায়। দোকানের সাটারে চোররা নতুন তালা লাগিয়ে দেয়। এ ঘটনায় দোকান মালিক যশোর সদরের সীতারামপুর গ্রামের মৃত আবুল বাসার ও লুৎফুন নাহারের ছেলে কামাল হোসেন শনিবার ২ সেপ্টেম্বর কোতয়ালি থানায় মামলা করেন। মামলায় আসামি অজ্ঞাত দেখানো হয়। এদিকে চুরির ঘটনা নিয়ে স্থানীয় ব্যবসায়িরা ভিন্ন মতামত পোষন করেন।
দোকান মালিক কামাল হোসেন বলেন, তার ওয়াকিং পার্টনার আসিফ হোসেন জনি ৩১ আগস্ট রাত ১০ টার দিকে হিসাব নিকাশ শেষে কর্মচারিদের নিয়ে দোকানে তালা দিয়ে যে যার মতো বাড়ি চলে যায়। শনিবার ২ সেপ্টেম্বর সকালে দোকান খুলে দেখে ভিতরে মামলা মাল ছড়ানো। সিসিটিভির ফুটেজ সংরক্ষিত ডিভিআর নেই। এরপর দোকানের ওয়াকিং পার্টনার আসিফ হোসেন জনি টের পায় দোকানে চুরি হয়ে হয়ে। তিনি দোকানের উত্তর পাশের সাটারের তালা খুলতে যেয়ে দেখে তাদের তালা নেই। চোরেরা নতুন তালা লাগিয়ে গেছে।
কামাল হোসেন মামলায় উল্লেখ করেছেন ৩১ আগস্ট রাত ১০ টা থেকে ২ সেপ্টেম্বর সকাল সোয়া ১০ টার মধ্যে যে কোন সময় অজ্ঞাত চোরেররা দোকানের তালা ভেঙ্গে ১৬২ পিচ স্মার্ট ফোন, নগদ ২ লাখ ৬৪ হাজার টাকাসহ মোট ৪৭ লাখ ৬৪ হাজার টাকার মালামাল নিয়ে যায়। এ ঘটনায় তিনি কোতয়ালি থানায় শনিবার দুপুরে লিখিত অভিযোগ করেন। মোবাইল হার্টের পাশের দোকান থেকে সংগৃহীত সিসিটিভির ফুটেজে দেখা গেছে শুক্রবার সকালে মোবাইল হাট থেকে ২৫ / ৩০ বছর বয়সি চার যুবক পিঠে ৪ টি ট্রাভেল ব্যাগ ও হাতে একটি লাল ব্যাগ নিয়ে মোবাইল হার্টেও গলি দিয়ে বের হয়ে যাচ্ছে।
এদিকে মোবাইল হার্টে চুরির ঘটনায় স্থানীয় ব্যবসায়িরা ভিন্নমত পোষন করেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তারা বলেছেন, মোবাইল হার্ট থেকে ১শ ৬২ পিচ মোবাইল নিতে গেলে অন্তত ২৫ কেজির ৪ টি চটের বস্তা প্রয়োজন। তাতেও নেয়া যাবে কিনা সন্দেহ রয়েছে। কারণ প্যাকেটসহ মোবাইল ফোন একটি চটের বস্তায় ৫০ টির বেশি ধরার কথা নয়। ফলে ৪ টি চটের বস্তা ছাড়া ১শ ৬২ পিচ মোবাইল নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। এছাড়া মোবাইল হার্ট চালু হওয়ার পর থেকে ক্যাশে মোটা অংকের কোন রাখা হতো না। মোটা অংকের টাকা আসিফ হোসেন জনি বাড়ি নিয়ে যেত বলে জনশ্রুতি রয়েছে। মামলার বর্ননায় চুরি হওয়া মোবাইলের সংখ্যা ও টাকার বিষয়টি সঠিক নয় বলে উল্লেখ করে ব্যবসায়িরা আশংকা প্রকাশ করেন। ব্যবসায়িরা আরো বলেন, মোবাইল হার্টের মালিক কামালের সাথে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ওয়াকিং পার্টনার আসিফ হোসেন জনির সম্প্রতি শীতল সম্পর্ক চলছে। মোবাইল হার্টে চুরির বিষয়টিতে দুজনের কারোর মদদ থাকার ব্যাপারটিও একেবারেই অমূলক নয় বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।