জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদেরকে সাইবার নিরাপত্তা আইনের ধারা পড়তে আহ্বান জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেছেন, গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করার মতো কোনো ধারা এই আইনে নেই।
শনিবার দুপুরে কসবা পৌর এলাকায় অবস্থিত হাবিবুল ইসলাম মেমোরিয়াল হাইস্কুলের একাডেমিক ভবন উদ্বোধন ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে জি এম কাদেরের বক্তব্যের প্রসঙ্গে সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, সাইবার সিকিউরিটি আইন করা হয়েছে গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করতে। নিউজের পরিবর্তে টেলিভিশনে গান-বাজনা ও নাটক চলবে, কেউই আর সংবাদ পরিবেশন করতে পারবে না। বাংলাদেশে এখন গণতন্ত্রের অভাব।
এ প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী বলেন, এরশাদ সরকার ও জিয়াউর রহমান দুজনেই মার্শাল ল’ দিয়ে এ দেশের মানুষের মৌলিক অধিকার, বাকস্বাধীনতা ও সাংবাদিকদের স্বাধীনতা ধ্বংস করে গেছেন। জনগণের অধিকার আদায়ের জন্য আওয়ামী লীগকে সংগ্রাম করতে হয়েছে। শেখ হাসিনাকে দুইবার কারাগার বরণ করেছেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার সাংবাদিকদের কল্যাণে কাজ করছে। যারা সাইবার ক্রাইম করে তাদের জন্য এই আইনটি করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুই সংবিধানে বাকস্বাধীনতা ও সাংবাদিকদের স্বাধীনতা দিয়েছিলেন।
খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, বিষয়টি আগেই মীমাংসিত হয়েছে। নতুনভাবে এ ব্যাপারে কিছু করার নেই। শেখ হাসিনার মহানুভবতার কারণে খালেদা জিয়া দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হয়েও শর্ত সাপেক্ষে দণ্ড স্থগিত রেখে বাসায় থেকে যাবতীয় চিকিৎসা নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, হাবিবুল ইসলাম মেমোরিয়াল হাইস্কুলের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত আমি এর সঙ্গে আছি। আমার শুধু একটা আকাঙ্ক্ষা থাকবে। আমি যেন এ বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের সর্বদা সুনাম শুনি।
বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শফিকুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন- উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল কাওসার ভূইয়া জীবন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আমিমুল এহসান খান, পৌর মেয়র মো. গোলাম হাক্কানী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি কাজী মো. আজহারুল ইসলাম, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান রুহুল আমিন ভূঁইয়া বকুল ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. মনির হোসেন প্রমুখ।