‘বিএনপি আক্রমণাত্মক হলে আ.লীগ নীরব দর্শক হবে না’

২৮ অক্টোবর আন্দোলনের নামে বিএনপি যদি সন্ত্রাসের পথে যায় ও আক্রমণাত্মক হয়, তাহলে আওয়ামী লীগ নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করবে না বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।

তিনি বলেন, বিএনপি হুমকি দিচ্ছে ২৮ অক্টোবর দেশকে অচল করে দেবে, ঢাকাকে সারা দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেবে, দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করবে। বিএনপি যতই হুমকি দিক, আমি মনে করি ২৮ তারিখ তারা কিছুই করতে পারবে না। আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অনেক সক্ষমতা অর্জন করেছে, তারাই বিএনপিকে কঠোরভাবে মোকাবেলা করবে।

 

তিনি আরও বলেন, বিএনপি যদি আন্দোলনের নামে সন্ত্রাসের পথে যায়, আক্রমণাত্মক হয়, গাড়িতে আগুন দেয়, বিদ্যুতের লাইন কাটে, রেললাইন তুলে- তাহলে আওয়ামী লীগ নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করবে না। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে বিএনপিকে সমুচিত জবাব দেওয়া হবে।

 

বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলা অডিটোরিয়ামে ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের বিভিন্ন অঞ্চলে ধানের ও তেল ফসলের উচ্চ ফলনশীল জাতের সম্প্রসারণ ও উৎপাদন বৃদ্ধিতে করণীয় শীর্ষক আঞ্চলিক কর্মশালায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মাহবুবুল আলম পাটোয়ারীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ, টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সংসদ সদস্য জোয়াহেরুল ইসলাম, বিনার মহাপরিচালক মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. আবু হাদী নুর আলী খান, ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক শাহজাহান কবীর, কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক দেবাশীষ সরকার, বিএডিসির সদস্য পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান, মধুপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীমা ইয়াসমিন, পৌরসভার মেয়র সিদ্দিক হোসেন খান, ধনবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মীর ফারুক আহমেদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

 

মন্ত্রী বলেন, নির্বাচন যথাসময়ে হবে এবং তা সুষ্ঠু, সুন্দর ও সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে। নির্বাচনে কারা এলো, কারা এলো না, সেটি কোনো বিষয় না। তবে আমি আশা করি, বিএনপির শুভবুদ্ধির উদয় হবে ও তারা নির্বাচনে আসবে।

 

উচ্চ ফলনশীল স্বল্প জীবনকালীন ধানের ও সরিষার জাতগুলোকে দ্রুত সম্প্রসারণের জন্য কর্মশালায় উপস্থিত কৃষির মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের তাগিদ দিয়ে মন্ত্রী বলেন, দেশে ক্রমশ কৃষি জমি কমছে, মানুষ বাড়ছে। এ অবস্থায় ১৭ কোটি মানুষের খাদ্যের জোগান দেওয়া খুবই কঠিন। সেজন্য কম সময়ে অধিক ফলন ও একই জমি থেকে বারবার ফসল ফলানোর ওপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।

আমাদের বিজ্ঞানীরা স্বল্প জীবনকালীন উন্নত জাতের ধানের ও অন্যান্য অনেক ফসলের জাত উদ্ভাবন করেছে, যা চাষের মাধ্যমে বছরে ১টি অতিরিক্ত ফসল ফলানো সম্ভব হচ্ছে। একইসঙ্গে ফলনও অনেক বেশি। এই জাতগুলোকে কৃষকের কাছে দ্রুত জনপ্রিয় করতে হবে।