নিয়োগ চান এনটিআরসি নিবন্ধিত শিক্ষকরা

এনটিআরসির ১ থেকে ১২তম ব্যাচের প্রায় ১২ হাজার শিক্ষক অজ্ঞাত কারণে নিয়োগ বঞ্চিত হয়েছেন। কিন্তু ৬০ হাজার জাল সনদধারী এনটিআরসি আওতাভুক্ত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা করছেন বলে অভিযোগ করেছে এনটিআরসি নিবন্ধিত নিয়োগ বঞ্চিত শিক্ষক ফোরাম। নিয়োগ বঞ্চিত নিবন্ধন সনদধারীদের শর্তহীনভাবে সরাসরি নিয়োগের দাবিতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছে সংগঠনটি।

শনিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের মওলানা মুহাম্মদ আকরম খাঁ হলে সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ জানান সংগঠনের নেতারা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সংগঠনের সভাপতি নীলিমা চক্রবর্তী বলেন, ‘এনটিআরসির গঠন প্রণালীতে ছিল দক্ষ ও যোগ্য শিক্ষক খুঁজে বের করার লক্ষ্যে পরীক্ষার মাধ্যমে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের সনদ প্রদান করা। সেই হিসেবে আমরা নিবন্ধিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে সনদ লাভ করেছি। তাহলে আজকে কেন আমাদেরকে অদক্ষ এবং অযোগ্য বলা হচ্ছে? পরীক্ষার মাধ্যমে কখনো ১৮%, ২২%, ১৭%, ২০% এভাবেই সনদ প্রদান করা হয়েছে। এই পার্সেন্টেজ থেকে ভবিষ্যতে কাউকে বঞ্চিত করা হবে এরকম কোনো কথা তখন বলা হয়নি। পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ ছিল বয়সের কোনো সীমাবদ্ধতা নেই এবং ৪০ নম্বর অর্জন করলে নিয়োগযোগ্য বলে বিবেচনা করা হবে। তবে আজকে কেন আমাদেরকে মেধাহীন বলা হচ্ছে? রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশে ১ থেকে ১২তম ব্যাচের নিবন্ধনধারীদের সনদের মেয়াদ আজীবন। তবে এক্ষেত্রে কেন ৩৫ ঊর্ধ্ব বিবেচিত হচ্ছে? আইনে আমরা নিয়োগযোগ্য নই একথা বারবার বলা হচ্ছে। যেখানে মহামান্য হাইকোর্ট সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের রায় আমাদের পক্ষে থাকার পরও আমাদের আইনের দোহাই দিয়ে বারবার বঞ্চিত করা হচ্ছে। আমাদের প্রত্যাশা ছিল যখন আমরা সনদ লাভ করেছি, জাতীয় মেধা তালিকায় স্থান করে নিয়েছি, যেকোনো সময়ে নিয়োগ আমাদের অবশ্যই হবে। কিন্তু আজকে নির্মম পরিহাস এই যে, আমাদের প্রত্যাশা, আশা-আকাঙ্ক্ষার কোনো মূল্যই এনটিআরসির কাছে নাই।’

তিনি বলেন, ‘১ থেকে ১২তম ব্যাচের সব নিয়োগ বঞ্চিত নিবন্ধন সনদধারীদের শর্তহীনভাবে সরাসরি নিয়োগ পাবার অধিকার রাখে। কিন্তু কোনো এক অজানা কারণে আমাদের এই দাবি বাস্তবায়নে গড়িমসি করা হচ্ছে। এতে আমরা পরিবার-পরিজন নিয়ে অসহায় এবং মানবেতর অবস্থায় জীবনযাপন করছি। এর ফলশ্রুতিতে আমরা নিয়োগ বঞ্চিতরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর কন্যা মানবতার মা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম, সিনিয়র সহ-সভাপতি নাসরিন সুলতানা, সহ-সভাপতি জান্নাতুল ফেরদৌস, সাংগঠনিক সম্পাদক সামিউল আলম, নুর উদ্দিন, দপ্তর সম্পাদক দুলাল হোসেন প্রমুখ।