দেশের ক্রিকেটপাড়ায় সাম্প্রতিক বেশ কিছু বিষয় নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। বিতর্কিত সেই ইস্যুগুলো নিয়ে কথা বলেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।
দীর্ঘদিন ধরেই প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নুর যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠে। সম্প্রতি জাতীয় দলের প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের ছেলে ঢাকায় এলে তাকে জাতীয় দলের টিম মিটিংয়ে রাখা হয়। এ নিয়েও প্রশ্ন তুলেন সাবেক অধিনায়ক রকিবুল হাসান।
গত মাসে ভারতে শেষ হওয়া ক্রিকেট বিশ্বকাপ চলাকালীন কোচ হাথুরুসিংহে নাকি তারকা স্পিনার নাসুম আহমেদকে চড় মেরেছিলেন। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সদ্য শেষ হওয়া ঢাকা টেস্টে জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম ‘অবস্ট্রাক্টিং দ্য ফিল্ড আউট’ নিয়ে ফিক্সিংয়ের সন্দেহ টেনে ভিডিও প্রকাশ করে দেশের একাত্তর টিভি।
গণমাধ্যমে এমন ভিত্তিহীন এবং স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া এতদিন না দেখালেও এবার মুখ খুললেন বিসিবি সভাপতি।
পাপন বলেন, নাসুমকে চড় মারার ঘটনা আমি জানি না। আমি কোনো দিনই শুনিনি এমন ঘটনা। আমি এ ধরনের কোনো কথাই শুনিনি।
ঘটনা জানার পর বোর্ডপ্রধান কোচকে শাসিয়েছেন বলেও খবর প্রচার হয়। তবে পাপন বলছেন, এটা পুরোপুরি মিথ্যা- ‘বলা হয়েছে আমি নাকি কোচকে শাসিয়েছি সামথিং লাইক দ্যাট… আমি তো জানি না। … কাজেই এরপর আমার তো কিছু বলার নাই। যে জিনিসটা আমি জানি মিথ্যা। সেই জিনিসটা নিয়ে…।’
কয়েক মাস আগে হাথুরুসিংহের ছেলে বাংলাদেশে এলে তাকে নিয়েও আপত্তিকর খবর প্রচার হয়। কোচের ছেলেকেও ‘ফিক্সার অপবাদ’ দিয়ে কন্টেন্ট প্রকাশ হয়। সাবেক অধিনায়ক রকিবুল হাসান জাতীয় দলের সভায় কোচের ছেলে কেন? এমন প্রশ্ন তুলেন।
বিসিবি সভাপতি জানান, ইন্টার্নশিপের অংশ হিসেবে জাতীয় দলের মিটিংয়ে থাকার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল কোচের ছেলেকে- ‘তাকে আমরা ইন্টার্নশিপ করতে দিয়েছি। সে ইন্টার্নশিপ করতে এসেছিল।’
গত কয়েক মাস ধরেই ব্যক্তি আক্রমণের শিকার হয়ে আসছেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নুও। এসব ব্যাপারে কখনই কোনো প্রতিক্রিয়া এতদিন দেখাতে দেখা যায়নি বিসিবিকে।
এ ব্যাপারে পাপন বলেন, ‘একটা সময় ছিল মিথ্যা কিছু তথ্য দিলেই মানুষ বেশি খেত, গ্রহণযোগ্য ছিল। আমি জানি না, আপনারা তো সাংবাদিক খোঁজ নিয়ে দেখেন এ সমস্ত মিথ্যাচার করতে করতে আস্তে আস্তে মানুষ কিন্তু উল্টা কথাও বলছে। এরা (কিছু গণমাধ্যম) কিন্তু ক্রিকেট ধ্বংস করার জন্য কথা বলছে। এই রকম কথাও বলছে ধারাবাহিকভাবে। আমরা তো এই জিনিসটাই চাচ্ছি, আমরা এর জন্য অপেক্ষায়। তারপর বিসিবির যা করার তা তো করবেই।’
পাপন আরও বলেন, ‘বাস্তবতা মানুষের কাছে স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে। …সবকিছুর একটা লিমিট আছে। যখন লিমিটটা ক্রস করে যায় তখন মানুষ বোঝে আসলে এটা সাংবাদিকতা না।’