পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমকে সতর্ক করল অনুসন্ধান কমিটি

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনের সংসদ সদস্য ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলমকে সতর্ক করা হয়েছে।

নিজের আইনজীবীর মাধ্যমে জবাব দেওয়ার পর নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান ও জ্যেষ্ঠ সহকারী জজ মো. সেফাতুল্লাহ ভবিষ্যতের জন্য সতর্কতামূলক নির্দেশনা দেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, শোকজের পর রোববার (১০ ডিসেম্বর) বিকেলে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির কার্যালয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম তার প্রতিনিধি ও আইনজীবী মমিনুল ইসলামকে দিয়ে লিখিত জবাব আদালতে দাখিল করেন। লিখিত ব্যাখ্যায় শাহরিয়ার আলম আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

তার আইনজীবী জানিয়েছেন, আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ অস্বীকার করলেও এই প্রার্থী অজ্ঞাতবশত: ভুলত্রুটি হয়ে থাকলে, সেই ব্যাপারে মার্জনা চেয়েছেন। পরে সোমবার (১১ ডিসেম্বর) বিকেলে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান এক আদেশে তাকে কারণ দর্শানোর দায় থেকে অব্যাহতি দেন এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের কর্মকাণ্ড না করতে সতর্ক করেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীকে ব্যাখ্যা দিতে তলব করা হয়।

তাকে পাঠানো কারণ দর্শানোর চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, বিভিন্ন গণমাধ্যম ও ভুক্তভোগীর লিখিত অভিযোগের মাধ্যমে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি জানতে পেরেছে, ২ ডিসেম্বর রাতে আচরণবিধি লঙ্ঘন করে প্রতীক বরাদ্দ করার আগেই চারঘাটের ফরহাদ আলাউদ্দীন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে জনসভা করেছেন শাহরিয়ার আলম।

ওই জনসভায় তিনি সাবেক সংসদ সদস্য রাহেনুল হকের কর্মী ও পাকুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেরাজুল ইসলামকে হুমকি এবং তার সম্পর্কে জনসমক্ষে বিভিন্ন উসকানিমূলক বক্তব্য দেন।

নোটিশে আরও বলা হয়, ওই বক্তব্যের মাধ্যমে শাহরিয়ার আলম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালার (২০০৮) একাধিক ধারা লঙ্ঘন করেছেন, যা নির্বাচন-পূর্ব অনিয়ম হিসেবে গণ্য হয়। এ ব্যাপারে কেন তার বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হবে না, সে ব্যাপারে রোববার (১০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় সশরীর বা প্রতিনিধির মাধ্যমে তাকে লিখিত ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছিল।

গত বুধবার (৬ ডিসেম্বর) বিকেলে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও রাজশাহীর জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন রাজশাহীর বাঘার পাকুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মেরাজুল ইসলাম। তিনি জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। অভিযোগের সঙ্গে শাহরিয়ার আলমের বক্তব্য দেওয়ার একটি ভিডিও ফুটেজও রিটার্নিং কর্মকর্তাকে দেওয়া হয়।