ঝিনাইদহে বিদায়ী ২০২৩ সালে সড়ক মহাসড়কে ছিল মৃত্যুর মিছিল। প্রায় প্রতিনিয়ত সড়ক দুর্ঘটনায় মানুষের মৃত্যু হয়েছে। বিদায়ী এক বছরে এই পরিসংখ্যান ১০৯ জনের মৃত্যু সড়ক দুর্ঘটনায়। আহত হয়েছে সহ¯্রাধীক মানুষ। সড়কগুলোতে অবৈধ যানবাহন চলাচলের ফলে এক অনিশ্চিত যাত্রার বলি হতে হয়েছে পথচারীদের।
জেলা পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশের পরিসংখ্যানে সড়ক দুর্ঘটনার সঠিক তথ্য পাওয়া না গেলেও বিভিন্ন পত্রপত্রিকা ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সুত্রে মিলেছে বিদায়ী ২০২৩ সালে ঝিনাইদহ জেলার ৬ উপজেলায় নিহত হয়েছেন ১০৯ জন।
এর মধ্যে ঝিনাইদহ সদর উপজেলায় গত এক বছরে ৩৬ জন, হরিণাকুন্ডু উপজেলায় ৪ জন, কালীগঞ্জ উপজেলায় ১৮ জন, মহেশপুরে উপজেলায় ১৫ জন, শৈলকুপায় উপজেলায় ২০ জন ও কোটচাঁদপুরে উপজেলায় ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ঝিনাইদহ সদর উপজেলায় সবচে বেশি ৩৬ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে। জেলার কোটচাঁদপুরে একই পরিবারের ৪ সদস্যসহ ৭ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। একাধিক মৃত্যুর রেকর্ড রয়েছে সদর উপজেলার কয়ারগাছি স্থানে আব্দুর রাকিব ও শাকিল, কালীগঞ্জের মোবারকগঞ্জ চিনিকলের সামনে সদর উপজেলার বিষয়খালী গ্রামের স্বামী ছাবদার হোসেন ও স্ত্রী পারভিনা খাতুন, সদর উপজেলার নলডাঙ্গা গ্রামে ইমন ও আজিম, হাটগোপালপুরে নাজমুল ও নিপুন শেখ, শৈলকুপার গাড়াগঞ্জে খোকন ও মহাদেব কুমার, মহেশপুরের ভৈরবায় ইমরান ও নাজিবুর, সদর উপজেলার আটলিয়া গ্রামে রিংকী খাতুন ও সাজেদুল ইসলাম, কালীগঞ্জের পিরোজপুর বটতলায় আবুল কালাম, শরীফা খাতুন ও অরো দাস এবং একই উপজেলার বেজপাড়া নামক স্থানে উজ্জল শেখ ও আমানুর রহমান নিহত হন।
ঝিনাইদহ হাইওয়ে পুলিশের ওসি মিজানুর রহমান বলেন, সড়ক মহাসড়কে অবৈধ যান চলাচলের বিষয়ে শুধু ঝিনাইদহে বন্ধ হলে হবে না। সারা দেশেই অবৈধ যান চলাচল বন্ধ করতে হবে। এ জন্য সড়ক ও সেতু মন্ত্রনালয় কাজ করছে। তারপরও আমরা সড়কগুলো অবৈধ যানমুক্ত করতে কাজ করছি।
ঝিনাইদহ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ)’র সহকারী পরিচালক আতিয়ার রহমান জানান, সড়ক দুর্ঘটনা রোধে বিআরটিএ সচেতনতামুলক লিফলেট বিতরণসহ বিভিন্ন কর্মসুচি চালিয়ে যাচ্ছে। তার দপ্তর প্রতি মাসেই চালকদের দক্ষতা উন্নয়নে প্রশিক্ষন দিচ্ছেন। এছাড়া তারা অবৈধ যানের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করছেন।