ভোটের রাতে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলায় ১০ জনের ফাঁসি

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটের রাতে নোয়াখালীর সুবর্ণচরে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় ১০ জনকে ফাঁসির রায় দিয়েছেন আদালত।

নোয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক (জেলা জজ) ফাতেমা ফেরদৌস সোমবার এ রায় দেন।

এই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ ২৩ সাক্ষীর সাুুক্ষ্যগ্রহণ শেষে রুহুল আমিন মেম্বারসহ ১৬ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আবেদনে করে। এ ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছিল ১৫ আসামিকে।
বর্তমানে তারা নোয়াখালী জেলা কারাগারে রয়েছেন। তবে ঘটনার পর থেকে মো. মিন্টু ওরফে হেলাল (২৮) নামে একজন আসামি পলাতক রয়েছে।

চাঞ্চল্যকর এ মামলার রায় ঘোষণা উপলক্ষে সকাল থেকে আদালত প্রাঙ্গণে নেওয়া হয় বিশেষ নিরাপত্তাব্যবস্থা।

বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েনের মধ্য দিয়ে ১৫ আসামিকে কড়া নিরাপত্তায় জেলা জজ আদালতের হাজতখানায় আনা হয়। হাজত প্রাঙ্গণে আসামিদের স্বজনদের ভিড় দেখা গেছে।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রাতে স্থানীয় রুহুল আমিনের নেতৃত্বে স্বামী-সন্তানদের বেঁধে রেখে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়।

ভুক্তভোগীর অভিযোগ, ভোটকেন্দ্রে থাকা ব্যক্তিদের পছন্দের প্রতীকে ভোট না দেওয়ার জেরে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার পরদিন ভুক্তভোগী গৃহবধূর স্বামী বাদী হয়ে চরজব্বর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। তদন্ত শেষে সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত প্রচার সম্পাদক রুহুল আমিন মেম্বারসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের ২৭ মার্চ অভিযোগপত্র দেন জেলা গোয়েন্দা পুলিশ পরিদর্শক জাকির হোসেন।