যশোর সদর উপজেলার চুড়ামনকাটিতে মরা গরুর মাংসসহ দুই কসাই
জনতার হাতে ধরা পড়েছে। সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় রেলস্টেশন
সংলগ্ন কলাবাগান থেকে জনগণ তাদের ধরে ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে
যান। ধৃতরা হলো, যশোর শহরের পুরাতন কসবা লিচুবাগান এলাকার আব্দুল
গনির ছেলে তরিকুল ও টালিখোলার বাবু। তারা যশোর শহরের পালবাড়ি
মোড়ে দেশি এড়ে গরু হিসেবে মাইকিং করে ৬শ্#৩৯; টাকা কেজি দরে
মাংস বিক্রি করে থাকেন। তবে কসাই তরিকুল দাবি করেছেন, মরা নই
তারা রুগ্ন গরু জবাই করেছেন।
এলাকাবাসী জানান, সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি ) সন্ধ্যায় পালবাড়ির
এলাকার কয়েকজন কসাই চুড়ামনকাটি রেলস্টেশনের পাশের একটি
কলাবাগানে মরা গরু জবাই করেছেন বলে জানতে পারেন। পরে তারা
জোটবদ্ধভাবে সেখানে গিয়ে মাংসসহ কসাই তরিকুল ও বাবুকে ধরে
চুড়ামনকাটি ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে যান।
এই বিষয়ে চুড়ামনকাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দাউদ হোসেন
জানান, সন্ধ্যায় মরা গরুর মাংস দাবি করে এলাকাবাসী দুই কসাইকে
ধরে আনেন। তাৎক্ষণিক বিষয়টি তিনি প্রশাসনকে জানান। রাত সাড়ে
৮ টা পর্যন্ত প্রশাসনের কেউ না আসার কারণে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়।
ধৃত কসাই তরিকুল ইসলাম জানান, মরা নই তারা রুগ্ন গরুর জবাই
করেছেন। কিন্তু এলাকাবাসী মরা গরুর মাংস হিসেবে তাদের ধরে
আনেন। সন্ধ্যায় কলা বাগানে গরু জবাই করলেন কেনো জানতে চাইলে
তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেননি।
স্থানীয় সাজিয়ালী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই সেলিম হোসেন
জানান, বিষয়টি তার জানা নেই।
যশোর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিপন বিশ্বাস জানান,
ঘটনাটি চেয়ারম্যান দাউদ হোসেন তাকে মুঠোফোনে অবহিত
করেছেন। মাংসসহ ধৃত কসাইদের কোতোয়ালি পুলিশে দেয়ার পরামর্শ
দেয়া হয়।
সোমবার ৫ ফেব্রুয়ারি রাত ৮ ৪৫ মিনিটে যশোর রেল রোড সোনালী
ব্যাংকের সামনে কেরু এন্ড কোম্পানি মদের দোকান থেকে, বারান্দি
পাড়ার বাসিন্দা কুয়ান মদ কিনে নিয়ে যাওয়ার পথে। একদল কিশোর গ্যাং
বার্মিজ চাকু ঠেকিয়ে মদ ও টাকা পয়সা নিয়ে যাওয়ার সময় জনতা
হাতে ধরা পড়ে পুলিশের কাছে সুব্রত করা হয়।