যশোর শহরের রেলস্টেশন এলাকায় জুম্মান হত্যাকান্ডের ঘটনায় মামলা হয়নি। হতাকান্ডের সাথে জড়িত অভিযোগে পুলিশ এখনো কাউকে আটক করতে পারেনি। হত্যাকান্ডের ঘটনায় স্টেশন এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে।
অস্ত্র ও মাদক বিক্রির টাকা ভাগাভাগিকে কেন্দ্র করে শনিবার সন্ধ্যায় শহরের রেলস্টেশন এলাকায় জুম্মানকে প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসীরা হত্যা করে। জুম্মানের খালা লিপি বেগম জানান, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ভাইপো রাকিবের নেতৃত্বে প্রিন্সসহ ৪/৫ জন ছুরিকাঘাতে জুম্মানকে হত্যা করে। রেলস্টেশন পুকুরপাড়ে সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আসাদুজ্জামান মিঠুর সিসিটিবির ফুটেজে জুম্মান হত্যার সাথে কারা জড়িত তা পরিস্কার দেখা যাচ্ছে। জুম্মান হত্যার ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো মামলা করেনি। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে দুএকদিনের মধ্যেই তারা মামলা করবে। জুম্মান শংকরপুর জমাদ্দারপাড়ার পকেটমার মুরাদ হোসেনের ছেলে। নিহতও জুম্মানও সন্ত্রাসী ছিলো। জুম্মানের নামে কোতয়ালি থানায় ডজন খানেক মামলা রয়েছে।
এদিকে জুম্মান হত্যার পর ২৪ ঘন্টা পার হয়েছে। হত্যার সাথে কারা জড়িতদের সিসিটিবির ফুটেজে পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে। অথচ কোতয়ালি পুলিশ এখনো তাদের আটক করতে পারেনি। জুম্মান হত্যার সাথে জড়িতদের আটকে পুলিশ গড়িমশি করছে বলে জুম্মানের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে। অভিযোগে জানা যায়, জুম্মান হত্যার সাথে জড়িতরা দীর্ঘদিন একটি রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় থেকে রেলস্টেশন এলাকায় অপরাধ কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছে। অথচ পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয় না। আর সে কারণেই জুম্মান খুন হয়েছে। জুম্মান হত্যাকান্ডের পর রেলস্টেশন এলাকায় সাধারণ মানুষের মধ্যে আতংক বিরাজ করছে।