ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফাহ শহরে ইসরাইলি হামলায় ৩৭ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও কয়েক ডজন মানুষ। সোমবার স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা এই তথ্য জানিয়েছেন।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর দিয়ে জানিয়েছে, হামলার ঘটনাটি এমন সময় ঘটল যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইসরাইলি কর্তৃপক্ষকে বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষায় একটি বিশ্বাসযোগ্য পরিকল্পনা ছাড়া রাফাহ আক্রমণ করতে নিষেধ করেছিলেন।
একটি চ্যাট অ্যাপ ব্যবহার করে রাফাহ শহরের বাসিন্দাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে রয়টার্স। তারা বার্তা সংস্থাটিকে জানিয়েছেন, হামলা যখন শুরু হয় তখন অনেক মানুষ ঘুমিয়ে ছিলেন। ফলে শহরটিতে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তাদের মধ্যে কিছু মানুষের আশঙ্কা ছিল ইসরাইল রাফাতে স্থল হামলা শুরু করেছে।
ইসরাইলি বিমান, ট্যাংক এবং জাহাজ ব্যবহার করে এই হামলাটি চালানো হয়েছে। বাসিন্দারা জানিয়েছেন, দুটি মসজিদ এবং বেশ কয়েকটি বাড়িতে বোমা হামলা হয়েছে।
সোমবার দক্ষিণ গাজায় একটি ‘সিরিজ হামলা’ পরিচালনা করার কথা জানিয়েছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। যেটি এখন ‘সমাপ্ত’ হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে আরও বিস্তারিত কিছু জানায়নি তারা।
গাজা শহরগুলোতে পূর্ববর্তী হামলার আগে, বেসামরিক নাগরিকদের উচ্ছেদে কোনো সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা না করেই তাদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল ইসরাইলের সামরিক বাহিনী।
নেতানিয়াহুর কার্যালয় জানিয়েছে, সেনাবাহিনীকে তারা রাফাহ খালি করার এবং সেখানে মোতায়েন করা চারটি হামাস ব্যাটালিয়ন ধ্বংস করার পরিকল্পনা তৈরির নির্দেশ দিয়েছে।
ইসরাইলি কর্তৃপক্ষের মতে, ফিলিস্তিনের সশস্ত্রে গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরাইলে এক হাজার ২০০ ইসরাইলিকে হত্যা করেছে। এ সময় কমপক্ষে ২৫০ জনকে জিম্মি করে নিয়ে যায় সশস্ত্র যোদ্ধারা।
হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি হামলায় এখন পর্যন্ত ২৮ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। যাদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু।