যশোরের বহুল আলোচিত পৌর কাউন্সিলর ও ঠাক মিলনের নামে কোতয়ালি থানায় ডজন খানিক মামলা

যশোরের বহুল আলোচিত পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও জেলা যুবলীগের প্রচার সম্পাদক জাহিদ হোসেন মিলন ওরফে ঠাক মিলনের নামে কোতয়ালি থানায় হত্যা বিষ্ফোরকসহ অন্তত ডজন খানিক মামলা রয়েছে। এছাড়া ১৪ ফেব্রুয়ারি বুধবার রাতে শহরের পুরাতন কসবা পালবাড়ির কাঁচাবাজারের একটি ইন্টারনেট ব্যবসার অফিস থেকে টাক মিলন ও তার ৩ সঙ্গীকে মদসহ আটক করে পুলিশ। আওয়ামীলীগ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসার পর এ নিয়ে মিলন দ্বিতীয়বার আটক হলো। এ ঘটনায় আরো একটি মামলা হয়। এর আগে ২০২১ সালের ৪ জানুয়ারি টাক মিলনের দ্বিতীয় স্ত্রী সোনিয়া গর্ভের সন্তান মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে মারপিট ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগে মামলা করেন।
মামলা গুলি হলো
মুলতবী ওয়ারেন্ট :
এসটিসি-২৬৩/১৫ , জিআর নং-৪১৮/১২ যশোর কোতয়ালি থানার মামলা নং-৪৮ তাং-০৮/০৪/২০১২ ইং ধারা-১৪৩/৪৪৭/৩২৩/৪২৭/৩০৭/৩৪ পেনাল কোড তৎসহ ১৯০৮ সনের বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের ৩।
এসটিসি-২২৫/১৬ কোতয়ালি থানার মামলা নং-১৩ তাং-০৪/১০/২০১৫ জিআর-৯৮৮/১৫ ধারা-১৯০৮ সনের বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের ৪/৬।
এসটিসি-২৪৮/১৭ কোতয়ালি থানার মামলা নং-৯৫ তাং-১৯/০৮/২০১৭ ইং ধারা-১৪৩/৩২৪/৩২৬/ ৩০৭ /১১৪/৫০৬ পেনাল কোড।
কোতয়ালি থানার মামলা নং-১১৩ তাং-২৬/০৮/২০১৪ ধারা-১৪৩/৩২৪/৩২৬/১১৪ পেনাল কোড তৎসহ ১৯০৮ সনের বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের ৪/৬।
তদন্তাধীন মামলা ঃ
কোতয়ালি থানার মামলা নং-১১০ তাং-২৯/০৯/২০১৮ ইং ধারা-৩০২/৩৪ পেনাল কোড। কাজীপাড়া সোহাগ হত্যা মামলার কাঃবিঃ ১৬৪ ধারায় প্রকাশিত পলাতক আসামি জাহিদ হাসান @ টাক মিলন।
কোতয়ালি থানার মামলা নং-৪৪ তাং-২৭/০১/২০১৯ ইং ধারা-১৯০৮ সনের বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের ৩/৪/৬ (মাননীয় সংসদ সদস্য জনাব কাজী নাবিল আহম্মেদের বাড়ির সামনে ২০১৯ সালের ২৬ জানুয়ারি গভীর রাতে বোমা বিস্ফোরণ মামলার পলাতক আসামি জাহিদ হাসান @ টাক মিলন।
গোয়েন্দা তথ্য ঃ
যশোর জেলার টেন্ডার নিয়ন্ত্রন, চাঁদাবাজী ( ট্রাক, অটোরিক্সাসহ বাড়ী নির্মানে), ভুমি দখল, সন্ত্রাস ও গুপ্ত হত্যা সংক্রান্তে তার বিরুদ্ধে গোয়েন্দা তথ্য রয়েছে।

পিসিপিআর (অপরাধ)
০১। যশোর কোতয়ালি থানার মামলা নং-৪৪, তারিখ-২৭/১০/১৯ খ্রিঃ, ধারা-৩০৭ পিসি তৎসহ ১৯০৮ সালের বিস্ফোরক উপাদানাবলী আইনের ৩/৪/৬।
০২। যশোর কোতয়ালি থানার মামলা নং-১১০, তারিখ-২৯/০৯/১৮ খ্রিঃ, ধারা-৩০২/৩৪ পিসি। ১৬৪ ধারার জবানবন্দির ভিত্তিতে প্রধান আসামী উক্ত ভিকটিম হত্যার পরিকল্পনাকারী এবং নিষ্পন্নকারী।
০৩। যশোর কোতয়ালি থানার মামলা নং-৯৫, তারিখ-১৯/০৮/১৭খ্রিঃ, ধারা-১৪৩/৩২৪/৩২৬/৩০৭/১১৪/৫০৬ পিসি।
০৪। যশোর কোতয়ালি থানার মামলা নং-১১৩, তারিখ-২৬/০৮/১৪ খ্রিঃ, ধারা-১৪৩/৩২৪/৩২৬/১১৪/ পিসি তৎসহ ১৯০৮ সালের বিস্ফোরক উপাদানাবলী আইনের ৩/৬।
০৫। যশোর কোতয়ালী থানার মামলা নং-৪৮, তারিখ-০৮/০৪/১২ খ্রিঃ, ধারা-১৪৩/৪৪৭/৩২৩/৪২৭/৩০৭/৩৪ পিসি তৎসহ ১৯০৮ সালের বিস্ফোরক উপাদানাবলী আইনের ৩।
০৬। যশোর কোতয়ালি থানার মামলা নং-১২২, তারিখ-২২/০৬/০৬ খ্রিঃ, ধারা-১৪৩/৩৪১/৩২৩/৩২৫/৩৭৯/৫০৬ পিসি, ক্রমিক নং-০৭, মিলন, পিতা-রুস্তম আলী, সাং-পুরাতন কসবা, মানিকতলা, এফআরটি নং-২২২, তারিখ- ১১/১০/০৬ খ্রিঃ।
০৭। যশোর কোতয়ালি থানার মামলা নং-৬০, তারিখ-১৬/০৪/০৬ খ্রিঃ, ধারা-১৪৩/৩৪১/৩৮৫/৩৮৬/৩৮৭/৫০৬ পিসি, ক্রমিক নং-০৭, টাক মিলন, পিতা-রোস্তম, সাং-পুরাতন কসবা, লিচু বাগান, এফআরটি নং-৩০৩, তারিখ- ২৭/১১/০৬ খ্রিঃ।
০৮। যশোর কোতয়ালী থানার মামলা নং-০৩, তারিখ-১৪/০৪/০৬ খ্রিঃ, ধারা-১৪৩/৪৪৮/৩৮৫/৩৮৭/৩৮০/৪২৭/৫০৬ পিসি, ক্রমিক নং-০৫, টাক মিলন, পিতা-রুস্তম, সাং-পুরাতন কসবা, মানিকতলা, এফআরটি নং-৩০৫ তারিখ-২৭/১১/০৬ খ্রিঃ।
০৯। যশোর কোতয়ালী থানার মামলা নং-১৮, তারিখ-০৫/০৪/০৬ খ্রিঃ, ধারা-৩০২/১০৯/৩৪২ পিসি, তৎসহ ১৯০৮ সালের বিস্ফোরক উপাদানাবলী আইনের ৩/৪/৬। ক্রমিক নং-০৩, টাক মিলন, পিতা-অজ্ঞাত, সাং-অজ্ঞাত, সি/এস নং-৮৫০, তাং-২১/১০/০৬ খ্রিঃ।
১০। যশোর কোতয়ালি থানার মামলা নং-১১১, তারিখ-২৪/০৮/০৫ খ্রিঃ, ধারা-১৪৭/১৪৮/১৪৯/৩৪১/৩২৩/৪২৭ পিসি, ক্রমিক নং-০৩, টাক মিলন, পিতা-অজ্ঞাত, সা, সাং-পুরাতন কসবা, লিচু বাগান, সি/এস নং-০৭ তারিখ- ০৪/০১/০৬ খ্রিঃ।
উল্লেখ্র আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসার পর জাহিদ হোসান মিলন ওরফে টাক মিলন ২০২০ সালের ১২ জানুয়ারি ঢাকা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর থেকে প্রথম আটক হয়। ওই দিন মিলন দুবাই থেকে দেশে আসে। ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ তাকে আটক করে যশোর পুলিশকে অবহিত করে। যশোর কোতয়ালি থানা পুলিশ ও ডিবির যৌথ টিম ঢাকা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর  থেকে মিলনকে ১৩ জানুয়ারি সকালে গ্রেফতার করে ঢাকা থেকে রওনা দিয়ে সন্ধ্যা ৬ টায় যশোর ডিবি অফিসে হাজির হন।
টাক মিলনকে কাজীপাড়া সোহাগ হত্যা মামলায় ০৭ (সাত) দিনের পুলিশ রিমান্ডের আবেদনসহ আদালতে সোপর্দ করে বিভিন্ন মুলতবী ওয়ারেন্ট মুলে গ্রেফতারসহ তার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকা বিভিন্ন তদন্তাধীন মামলায় গ্রেফতার ও পুলিশ রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে আবেদন প্রেরণ করে। আর দ্বিতীয়বার বুধবার ১৪ ফেব্রুয়ারি পুরাতন কসবা পালবাড়ির কাচাবাজারের একটি ইন্টানেট অফিস থেকে মদসহ আটক করে।