দুর্নীতি ও অর্থপাচার করে দেশের অর্থনীতি ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে

যশোর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক নার্গিস বেগম বলেছেন, অবৈধ সরকার অপশাসন, লাগামহীন লুটপাট, দুর্নীতি ও অর্থপাচার করে দেশের অর্থনীতি ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে। দেশের কোটি কোটি মানুষ আজ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির সীমাহীন মূল্য বৃদ্ধির ফলে নিঃস্ব, ক্ষুধার্ত ও ঋণগ্রস্থ হয়ে পড়েছে। মানুষ তার সন্তানের মুখে খাবার তুলে দিতে শেষ সম্বল বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। আর ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীরা মেগা প্রকল্পের নামে জনগণের টাকা লুট ও পাচার করে বিদেশে সেকেন্ড হোম বানিয়েছে।

 

দেশব্যাপী সীমাহীন দব্য মূল্যের উর্ধ্বগতি এবং ভারত ও মিয়ানমার সীমান্তে বাংলাদেশীদের হত্যার প্রতিবাদে শনিবার শহরে গণসংযোগ ও প্রচারপত্র বিলি কালে তিনি এ কথা বলেন। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে শহরের চৌরাস্তা মোড় থেকে কর্মসূচি শুরু হয়ে স্বর্ণপটিপট্টি,এইচ এম এম রোড, কাঠেরপুল ব্রিজে গিয়ে শেষ হয়।

 

এসময় নার্গিস বেগম আরও বলেন, বর্তমান শীত মৌসুমেও এক কেজি কাঁচা মরিচ ১০০ টাকা, পেঁয়াজ ১২০টাকা, মুলা ৪০ টাকা, কচুরমুখী ১০০ টাকা, বেগুন ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ১০০টাকা, শশা ৭০ টাকা, মুরগীর উচ্ছিষ্ট পাখনা ও পা ১২০ টাকা আর এক হালি মুরগীর ডিম ৮০ টাকা। যে কারণে দেশের কোটি কোটি মানুষ তাদের সন্তানের মুখে খাবার তুলে দিতে শেষ সম্বল বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। তারা ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষের আংশা করছেন। অথচ ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীরা গত ১৫ বছরে ১৩ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি বিদেশে পাচার করেছে। ব্যাংকগুলো লুটের পাশাপাশি বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ৮১ মিলিয়ন ডলার চুরি করা হয়েছে। প্রতি কিলোমিটার রাস্তা তৈরীতে ১১ মিলিয়ন ডলার ব্যয়ের মত অস্বাভাবিক ও বিশ্বে সর্বোচ্চ ব্যয় করা হয়েছে কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রে, পায়রা সমুদ্র বন্দরে, রূপপুর পারমানবিক বিদুৎ কেন্দ্রে এবং মেট্রোরেলসহ সকল মেগা প্রকল্প শুধুই মেগা দুর্নীতি করার জন্য। অন্যদিকে দেশের বৈদেশিক ঋণ বেড়ে হয়েছে ১০০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশী।

 

তিনি বলেন, মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত গণতন্ত্রকে নির্বাসনে পাঠিয়ে জনগণের ভোট ছাড়াই ডামী নির্বাচনের মাধ্যমে একদলীয় সরকার ও এক ব্যক্তির শাসন কায়েমের জন্য দেশের স্বার্থ ও সাবভৌমত্ব বিকিয়ে দেয়া হয়েছে বিদেশী প্রভুদের কাছে। অরক্ষিত সীমান্তে দেশের নাগরিকগণ একের পর এক খুন হচ্ছেন। অথচ নতজানু সরকার কার্যকর কোন প্রতিবাদ কিম্বা প্রতিরোধ করতে পারে না। জনগণ এই পরিস্থিতির অবসান চায়। জনগণ বাঁচতে চায় এবং তাদের প্রিয় দেশকে বাঁচাতে চায়।

 

কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাড. সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, যুগ্ম-আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকন, সদস্য মিজানুর রহমান খান, এ কে শরফুদ্দৌলা ছোটলু, মুনির আহমেদ সিদ্দিকী বাচ্চু, সিরাজুল ইসলাম, নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এহসানুল হক সেতু, সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুজ্জামান মাসুম, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম যশোর ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রহমান, জেলা কৃষক দলের সদস্য সচিব শিকদার সালাউদ্দিন, যুগ্ম-আহ্বায়ক হাবিবুল ইসলাম কচি, জেলা মহিলা দলের সভানেত্রী রাশিদা রহমান, সাধারণ সম্পাদিকা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফেরদৌসী বেগম, জেলা যুবদলের সভাপতি এম তমাল আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক আনসারুল হক রানা, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি রবিউল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা আমির ফয়সাল,জেলা ছাত্রদলের সভাপতি রাজিদুর রহমান সাগর, সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাপ্পি প্রমুখ।