গণতন্ত্র মঞ্চ ও ১২ দলীয় জোটের সঙ্গে মির্জা ফখরুলের বৈঠক

সদ্য কারামুক্ত বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে বৈঠক করেছেন গণতন্ত্র মঞ্চ ও ১২ দলীয় জোটের নেতারা।

শনিবার পৃথক বৈঠকে বিগত আন্দোলন-কর্মসূচির বিষয়ে সংক্ষিপ্ত পর্যালোচনা ছাড়াও চলমান আন্দোলন এবং পরবর্তী করণীয় বিষয়ে মতবিনিময় হয় বলে সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানিয়েছে।

এদিকে সোমবার মির্জা ফখরুল চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর যাচ্ছেন বলে বিএনপির একটি সূত্র জানিয়েছে।

এর আগে তিনি সরকারবিরোধী যুগপৎ আন্দোলনের দুই মিত্র জোট গণতন্ত্র মঞ্চ ও ১২-দলীয় জোটের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করলেন। তবে বৈঠকে আলোচ্য বিষয় সম্পর্কে জোটের নেতারা কিছু খোলাসা করতে রাজি হননি। মির্জা ফখরুলের সঙ্গে রোববার জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটেরও সাক্ষাতের কথা রয়েছে।

জানা গেছে, শনিবার বিকাল চারটায় গুলশানের বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে ১২ দলীয় জোটের সঙ্গে বৈঠক হয়। এতে জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দারের নেতৃত্বে জোট নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

এরপর সন্ধ্যায় গুলশানে মহাসচিবের বাসায় গণতন্ত্র মঞ্চের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক হয়। এতে নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, জেএসডির তানিয়া রব, ভাসানী অনুসারী পরিষদের শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলুসহ ছয়জন নেতা উপস্থিত ছিলেন।

গণতন্ত্র মঞ্চের অন্যতম শীর্ষ নেতা ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক যুগান্তরকে বলেন, ‘মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে যাচ্ছেন। এটি মূলত তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ। আমরা তার স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নিয়েছি। তার জন্য শুভকামনা জানিয়েছি, তিনি যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে ফিরে আসেন।’

সাড়ে তিন মাস পর গত ১৫ ফেব্রুয়ারি কেরাণীগঞ্জ ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জামিনে মুক্ত হন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এরপর বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শে তিনি বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছেন।

কারামুক্ত হওয়ার পর থেকে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে কয়েকবার গেলেও দলের প্রাকাশ্য কোন কর্মসূচিতে তাকে দেখা যায়নি।

শুধুমাত্র ২৪ ফেব্রুয়ারি গুলশানের একটি হোটেলে সে সময় ঢাকায় সফররত যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিল, ডিপার্টমেন্ট অব স্টেট এবং এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টের (ইউএসএআইডি) প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন মির্জা ফখরুলের নেতৃত্বে বিএনপির প্রতিনিধি দল। তবে তখনও তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো কথা বলেন নি।