যশোরে অভাবের তাড়নায় ট্রেনের নীচেয় ঝাপ দিয়ে মা মেয়ের মৃত্যু

যশোরে একাকিত্ব আর অভাবের তাড়নায় ১২ বছরের কন্যা সন্তানকে সাথে নিয়ে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন এক নারী। আত্মহত্যার আগে মেয়েকে ভুলিয়ে রাখতে কিনেছিলেন জন্মদিনের কেক ও কোমল পানীয়। কিন্তু সেগুলো খেতে খেতেই মেয়েকে জোরপূর্বক ট্রেনে হেঁচড়ে নিয়ে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দেন নারী। আজ দুপুর আড়াইটার দিকে সদর উপজেলার চুড়ামনকাটি বাজার সংলগ্ন পোলতাডাঙ্গা শশ্মানঘাট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত লাকি বেগম সদর উপজেলার বড় হৈবতপুর গ্রামের মোকছেদ আলীর মেয়ে। তার মেয়ের নাম সামিয়া আক্তার মিম (১২)। তারা মা-মেয়ে যশোর সদরের সাতমাইল বাজারে ভাড়া বাসায় থাকতেন।

স্থানীয়রা জানান, দুপুর আড়াইটার দিকে ওই নারী তার মেয়েকে নিয়ে রেললাইনের পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলো। ঢাকাগামী বেনাপোল এক্সপ্রেসের ট্রেনটি আসা মাত্রই মেয়ের হাত ধরে টেনে হেঁচড়ে ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দেন। এতে তাদের শরীর ছিহ্ন বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরে তারা গিয়ে দেখতে পান রেল লাইনের পাশে একটি প্যাকেটে অর্ধেক খাওয়া জন্মদিনের কেক, কোমল পানীয় ও তাদের একটি ব্যাগ রয়েছে। পরে ব্যাগে থাকা মোবাইল বের করে স্বজনদের দুর্ঘটনার সংবাদ জানানো হয়। খবর পেয়ে ওই নারীর বোন ও বোনজামাই ঘটনাস্থলে আসেন। তারা জানান লাকি বেগমকে তার একমাত্র সন্তানসহ প্রথম স্বামীর কাছ থেকে ছাড়িয়ে এনে বিয়ে করে এজাজুল নামে এক ব্যক্তি। এক বছর আগে তিনিও তাকে ডিভোর্স দেন। পরে বিভিন্ন সময় বিয়ের আশ্বাস দিলেও আর বিয়ে করেনি। অভাবের মধ্যেই তাদের সংসার চলে আসছিল।

এদিকে খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে যায় ডিবি পুলিশের টিম। পুলিশ জানিয়েছে, একাকিত্ব ও অভাবের কারণেই লাকি বেগম তার মেয়েকে নিয়ে আত্মহত্যা করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে । এ ঘটনায় রেলওয়ে পুলিশ ইনচার্জ শহিদুল ইসলাম মরদেহ উদ্ধারসহ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানিয়েছেন ।