ঈদ-উল-ফিতর,বাংলা নববর্ষ ও সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে পাঁচ দিনের ছুটির কবলে পড়েছে বেনাপোল বন্দর

ঈদ-উল-ফিতর,বাংলা নববর্ষ ও সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে পাঁচ দিনের ছুটির কবলে পড়েছে বেনাপোল বন্দর।

তবে এসময় আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট দিয়ে যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক থাকবে বলে জানান চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন ওসি কামরুজ্জামান বিশ্বাস।

ঈদের আগে ৭ এপ্রিল (রোববার) শবে কদরের ছুটি রয়েছে। শবে কদরের ছুটির পর ৮ ও ৯ এপ্রিল (সোম ও মঙ্গলবার) অফিস খোলা থাকবে।

বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক রেজাউল করিম বলেন,এবার ১১এপ্রিল ঈদুল ফিতরের তারিখ ধরে ১০ এপ্রিল বুধবার থেকে ১২ এপ্রিল শুক্রবার ঈদের ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।

“পরের দুই দিন ১৩ এপ্রিল শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি ও ১৪ এপ্রিল রোববার নববর্ষের ছুটি।”

সেক্ষেত্রে ১৫ এপ্রিল সোমবার থেকে খুলবে সরকারি অফিস-আদালত। সব মিলিয়ে টানা ৫ দিন ছুটির ফাঁদে পড়তে যাচ্ছে বন্দর।”

বেনাপোল কাস্টমস ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরোয়ার্ডিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক লতা বলেন,ঈদের আগে ৭ এপ্রিল রোববার শবে কদরের ছুটি রয়েছে। শবে কদরের ছুটির পর ৮ ও ৯ এপ্রিল (সোম ও মঙ্গলবার) অফিস খোলা।এ দুদিন অফিস খোলা থাকলেও তেমন কোনো কাজ হবে না। সরকার ঈদের তিন দিন আগে-পরে ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান চলাচল বন্ধ রাখায় বন্দর থেকে কোনো পণ্য খালাসও হবে না।

তবে ৮ ও ৯ এপ্রিল শুধু আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম চলতে পারে বলে তিনি মনে করেন।

এদিকে সীমান্তের দুই পাশে ট্রাকের জট টানা ছুটির কারণে আরো বাড়বে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

বেনাপোলের মতোই ভারতের পেট্রাপোলেও পণ্যবাহী ট্রাকের জট রয়েছে বলে জানান এ বন্দরের সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি কার্ত্তিক চক্রবর্তী।তিনি বলেন, “বন্দরে স্থান সংকুলান না হওয়ায় বন্দরের ট্রাক টার্মিনাল, পেট্রাপোল পার্কিং ও বনগাঁও টার্মিনালে কয়েকশ পণ্য বোঝাই ট্রাক অপেক্ষা করছে।

“এসব পণ্য পেট্রাপোল থেকে বেনাপোল বন্দরে ঢুকবে ছুটি শেষে। এতে পেট্রাপোল বন্দর এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হবে।”

বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক (ট্রাফিক) রেজাউল করিম বলেন, প্রতিদিন পেট্রাপোল বন্দর থেকে রপ্তানি পণ্য নিয়ে তিন থেকে সাড়ে ৩শ’ ট্রাক আসে বেনাপোল বন্দরে আর বেনাপোল দিয়ে দেড়শ’ থেকে আড়াইশ’ ট্রাক পণ্য যায় ভারতে।দেশের ৭৫ ভাগ শিল্প প্রতিষ্ঠানের কাঁচামালসহ বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্য আসে এই বন্দর দিয়ে।

“৮ ও ৯ এপ্রিল বন্দর খোলা থাকবে। এসময় কেউ চাইলে অবশ্যই পণ্য ডেলিভারি দেওয়া হবে। তবে ঈদের আগে-পরে ট্রাক চলাচল বন্ধ থাকায় কেউ পণ্য নেবে বলে মনে হয় না