ইসফাহানে তিন ড্রোন ধ্বংস করার দাবি ইরানের

ইরানের মধ্যাঞ্চলীয় ইসফাহান শহরের আকাশে উড়তে থাকা তিনটি ড্রোন ধ্বংসের দাবি করেছে সেদেশের সামরিক বাহিনী। ইরানে ইসরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রেক্ষাপটে এ খবর দিয়েছে সেদেশের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন।
সংবাদমাধ্যম রয়টার্স এক প্রতিবেদনে বলেছে, শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) ভোরে ইসরায়েল ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালে তা ঠেকাতে ইরানের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সচল করা হয়। ভোর ৪টার দিকে ইসফাহানের আকাশে তিনটি ড্রোন নজরদারিতে রাখা হয় এবং পরে ধ্বংস করা হয়।

এর আগে ইরানের আধা-সরকারি ফার্স নিউজ জানিয়েছিল, ইসফাহানের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে বিকট শব্দে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।

ইসফাহানে ইরানের বড় বিমানঘাঁটি, ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদন কারখানা ও পরমাণু কেন্দ্র রয়েছে।

সেজন্যই শহরটি ‘আক্রমণের’ টার্গেট হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। 

যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনের একজন শীর্ষ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে সেদেশের সংবাদমাধ্যম এবিসি নিউজ জানায়, সকালে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী ইরানি ভূখণ্ডে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে।

তবে কী আকারের বা কতটি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে, তা তৎক্ষণাৎ জানানো হয়নি। 

ইরানের এয়ারপোর্টস অ্যান্ড এয়ার নেভিগেশন কোম্পানি জানিয়েছে, তেহরান, ইস্ফাহান, শিরাজ বিমানবন্দরসহ কিছু এলাকায় ফ্লাইট চলাচল বাতিল করা হয়েছে।

গত ১ এপ্রিল সিরিয়ায় ইরানের কনস্যুলেটে হামলা হয়। ওই হামলায় বেশ কজন ইরানি কমান্ডারসহ ১৩ জনের প্রাণ যায়। তেহরানের অভিযোগ, ইসরায়েল ওই হামলা চালিয়েছে। তেলআবিব হামলার দায় স্বীকার না করলেও নাকচও করেনি।

আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে কনস্যুলেটে ওই হামলার জবাব দেওয়ার কথা বলে ইরান। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৩ এপ্রিল ইসরায়েলে তিন শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে তারা। পাশাপাশি ইরাক, সিরিয়া ও ইয়েমেনে থাকা তাদের মিত্ররাও ওই হামলায় অংশ নেয়। তবে মিত্রদের সহযোগিতায় প্রায় সব ড্রোন-ক্ষেপণাস্ত্রই ভূপাতিত করে ইসরায়েল।

এ নিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ালে পশ্চিমা দেশসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় দুপক্ষকেই সংযত আচরণের পরামর্শ দেয়। তবে ইসরায়েল বারবার সেই হামলার ‘পাল্টা জবাব’ দেওয়ার কথা বলে আসছিল।

তাদের হুঁশিয়ার করে ইরানও বারবার বলে আসছে, ইসরায়েল এ ধরনের পাল্টা আঘাত করলে তাদের ‘কঠোর জবাব’ দেওয়া হবে।