যশোরে গৃহবধু ধর্ষনের ঘটনায় মামলায় তিনজনকে আটক করল পিবিআই

যশোরের শার্শায় গৃহবধুকে ভয় দেখিয়ে জোর পূর্বক ধর্ষণ ও ভিডিও ধারন করে প্রচারের অভিযোগে শার্শা থানায় মামলা হয়েছে। ধর্ষনের স্বীকার ওই গৃহবধু ২৭ এপ্রিল মামলা করেন। মামলার আসামিরা হলো শার্শা পুটখালি গ্রামের মৃত আশরাফের ছেলে ইমরান হোসেন (২৬) শার্শার তরিকুল ইসলামের ছেলে শরিফুল ইসলাম জীবন (২০) শার্শা পুটখালি গ্রামের মৃত হাফিজুর রহমানের ছেলে হাবিবুর রহমান (২৪) শার্শার আজগর আলীর ছেলে মোর্শেদ আলম শান্ত ওরফে ইমদাদুল (১৯) ও শার্শার মতিয়ার রহমানের ছেলে রিফাদ হোসেন (১৯)। এদের মধ্যে পিবিআই তিন যুবক শরিফুল ইসলাম, মোর্শেদ আলম শান্ত ও রিফাদ হোসেনকে  গ্রেফতার করেছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে  গ্রেফতারকৃতরা ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের এস আই রতন মিয়া জানান,  গোপন সংবাদ ও তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে অনুসন্ধান করে ২৯ এপ্রিল সোমবার রাতে ওই তিনজনকে তাদের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। ঘটনার বিবরণে জানা যায়, ইমরান হোসেন সম্পর্কে গৃহবধুর দেবর। সেই সুবাদে প্রায় তার বাড়িতে আসা-যাওয়া করত। নানা ভাবে গৃহবধুকে কু-প্রস্তাব দিত। স্বামী বাড়িতে না থাকার সুযোগে ২৩ সালের ১০ জানুয়ারি গভীর রাতে ইমরান গৃহবধু ভাবিকে জোর পূর্বক ধর্ষন করে। ওই সময় ভিকটিমের অশ্লীল ভিডিও মোবাইলে ধারণ করে। মোবাইলে ধারণকৃত ভিডিওটি শরিফুল ইসলাম জীবন, হাবিবুর রহমান, মোরশেদ আলম শান্ত @ ইমদাদুল, ও রিফাদ হোসেনকে দেখায়। তারাও ভিডিওর সূত্র ধরে ভিকটিমকে ধারণকৃত অশ্লীল ছবি ও ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেবে বলে হুমকি দিতে থাকে। একপর্যায় ভিকটিম স্বামী-সংসার, সামাজিক মান সম্মানের ভয়ে নিরুপায় হয়ে তাদের সাথেও শারীরিক সম্পর্ক করে। ভিকটিমের অজান্তে তারাও ভিকটিমের নগ্ন ছবি ও ভিডিও ধারণ করে। একই সাথে ভিকটিমের কাছে পাঁচ লক্ষ টাকা দাবি করে। ভিকটিম তাদের দাবীকৃত টাকা প্রদান করতে ব্যর্থ হলে ভিকটিমের অশ্লীল ছবি ও ভিডিও মোবাইলের মাধ্যমে প্রচার করতে থাকে। ঘটনার বিষয়ে অনুসন্ধানকালে আসামিরা ঘটনার সহিত জড়িত মর্মে সত্যতা পাওয়া যায়। এরপর অভিযান চালিয়ে ওই তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের সোমবার ২৯ এপ্রিল জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হলে তারা ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবান বন্দি প্রদান করে। মামলার অপর দুই আসামিকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই রতন মিয়া।