বিদেশে বসে প্রেমিকার পরিকল্পনায় খুন হন মেসকাত

যশোরের মণিরামপুরে ধানক্ষেত থেকে উদ্ধার হওয়া পাবনার মেসকাতকে
হত্যার পরিকল্পনা করেছিলেন তার প্রেমিকা প্রবাসী নাজমা। আর সেজন্য
নাজমা বিদেশে বসেই মেসকাতকে হত্যা করতে রিক্তা বেগমের সাথে দুই
লাখ টাকা চুক্তি করে। আর রিক্তা ঠিক করে ভাড়াটিয়া কিলার যশোর শহরের
শংকরপুরের শাহীন ড্রাইভারকে। এরপর শাহীন ড্রাইভার কৌশলে
মেসকাতকে মণিরামপুরে এনে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে লাশ ধান
ক্ষেতে ফেলে চলে যায়। ডিবি পুলিশের অভিযানে আটকের পর এ হত্যায়
জড়িত অন্যতম আসামি সাতক্ষীরার ঝাউডাঙ্গা গ্রামের রিক্তা এসব তথ্য
জানান।

এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে নাজমার বাবা সাতক্ষীরার
আশাশুনি উপজেলার নৈকাটি গ্রামের নিজাম সরদারকেও আটক করা
হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে হত্যায় ব্যবহৃত প্রাইভেটকার ও মেসকাতের
মোবাইল ফোন। নিহত মেসকাত পাবনার ভাঙ্গুরা উপজেলার শ্রীপুর
গ্রামের নিজাম প্রামানিকের ছেলে।

শনিবার ডিবি পুলিশের ওসি রুপন কুমার সরকার জানান, মেসকাত ও
প্রবাসী নাজমা দু’জনেই যশোরের পদ্মবিলায় ইলা অটো রাইস মিলের
শ্রমিক ছিলেন। এক পর্যায়ে তারা পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন।
এরই মাঝে বিদেশে পাড়ি দেয় নাজমা। এদিকে, মেসকাত নিজ এলাকায়
চলে যান। তাদের সম্পর্কের বিষয়টি জেনে যায় মেসকাতের স্ত্রী জুলেখা।
পরে সে নাজমাকে মোবাইল করে গালিগালাজ দেয়। এসব বিষয়ে ক্ষোভ
তৈরি হয় নাজমার। এরপর সে হত্যার পরিকল্পনা করে। এসময় নাজমা
মেসকাতকে বলে ঝাউডাঙ্গা বাজারে তার সোনা রয়েছে সেই সোনা
সাতক্ষীরার বাড়িতে পৌছে দিতে হবে।

 

এ কাজে ঠিক করে শাহীন ড্রাইভারকে। শাহীন ড্রাইভার কৌশলে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে ছুরিকাঘাতে
হত্যা করে মৃতদেহ মণিরামপুরে এনে ধান ক্ষেতে ফেলে পালিয়ে যায়। এ
ঘটনায় নিহত মেসকাতের ভাই এরশাদ আলী মণিরামপুর হত্যা থানায়
মামলা করেন। মামলাটি তদন্তে মাঠে নামে ডিবি পুলিশ।
শুক্রবার সাতক্ষীরা জেলায় অভিযান চালিয়ে ডিবির এসআই মফিজুল
ইসলামের নেতৃত্বে একটি টিম মেসকাতের মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে
ওই দুই আসামিকে আটক করে।