মালয়েশিয়ায় প্রতারিত শ্রমিকদের সহায়তা করবে জাতিসংঘ

ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন, ইন্টারন্যাশনাল লেবার অর্গানাইজেশন এবং ইউনাইটেড নেশনস অব ড্রাগস অ্যান্ড ক্রাইম জানিয়েছে, তাৎক্ষণিক প্রয়োজন মেটাতে যে কোনো সহায়তা করতে প্রস্তুত তারা।

শুক্রবার দেশটির ফ্রিমালেয়শিয়াটুডে জানায়, এর মধ্যে রয়েছে ন্যায়বিচার এবং মৌলিক পরিষেবা তাদের কাজের পরিধি বাড়ানো, টেকসই সমাধান ও দীর্ঘমেয়াদী প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখা, শ্রমিকদের অধিকার আদায়।

এক বিবৃতিতে মালয়েশিয়ায় প্রতারিত বাংলাদেশিদের দুর্দশার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে তিনটি আন্তর্জাতিক সংস্থা।

মালয়েশিয়ায় প্রতারণার শিকার বাংলাদেশি শ্রমিকদের নিয়ে উদ্বিগ্ন জাতিসংঘ। গত ১৯ এপ্রিল ফ্রিমালেয়শিয়াটুডের প্রতিবেদনে উঠে আসে জাতিসংঘের ক্ষোভের বিষয়টি।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তিনটি সংস্থা মালয়েশিয়া সরকারকে বর্তমান শ্রম অভিবাসন ব্যবস্থা পর্যালোচনা করে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড মেনে একটি স্বচ্ছ ও দক্ষ শ্রম অভিবাসন প্রক্রিয়া গড়ে তোলার জন্য গঠনমূলক নীতি গঠনে সংলাপের মাধ্যমে সমস্যা সমাধানে প্রস্তুত রয়েছে তারা। এতে বলা হয়, বর্তমানে মালয়েশিয়ায় অভিবাসী শ্রমিকদের মধ্যে বাংলাদেশি অভিবাসী শ্রমিকরা সবচেয়ে বেশি।

সংস্থাগুলো জানিয়েছে, ২০২৩ সালের শুরুর দিক থেকে, ক্রমবর্ধমান সংখ্যক কর্মীদের রিপোর্ট রয়েছে যাদের মালয়েশিয়া আসার পরে চাকরি দেওয়া হয়নি।

এর পরিবর্তে নিয়োগকর্তা এবং সংশ্লিষ্ট নিয়োগকারী এজেন্টরা তাদের প্রায়ই খুব গাদাগাদি করে হোস্টেল, অ্যাপার্টমেন্ট বা গুদামঘরে রাখে, অস্বাস্থ্যকর সুবিধা, পর্যাপ্ত খাবার সরবরাহ না করা। পাসেপোর্ট কোম্পানিতে আটকে রাখার মতো ঘটনা ঘটেছে।

এপ্রিলে জাতিসংঘের একদল বিশেষজ্ঞ মালয়েশিয়াকে বাংলাদেশি অভিবাসী কর্মীদের শোষণকে সামনে রেখে তাদের সমস্যা সমাধানের আহবান জানিয়েছে।

জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে নিযুক্ত বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, তারা বাংলাদেশি অভিবাসীদের সম্পর্কে প্রতিবেদনে হতাশ হয়ে পড়েছেন, যারা কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে মালয়েশিয়ায় নিয়ে এসে কাজের ব্যবস্থা করেনি তাদের ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে সুপারিশ করেছেন।

গত অক্টোবরে অভিবাসী অধিকার কর্মী অ্যান্ডি হল জেনেভায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের অধীনস্থ সংস্থা, মানবাধিকারের জন্য জাতিসংঘের হাইকমিশনার অফিসে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি শ্রমিকদের দুর্দশার বিষয়ে জানিয়েছেন।