যশোরের শার্শা উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নে বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জেরে ককটেল বিস্ফোরণে আব্দুল হাই (৫০) নামে এক কর্মী নিহত হয়েছেন। তিনি ডুবপাড়া গ্রামের মৃত হারান আলীর ছেলে এবং স্থানীয়ভাবে ‘লিটন গ্রুপ’-এর সক্রিয় সদস্য ছিলেন।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে,শনিবার (৭ জুন) রাত আনুমানিক ৯টা ৩০ মিনিটে ডুবপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরণে গুরুতর আহত অবস্থায় আব্দুল হাইকে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, একই দিন সকালে ঈদের জামাতে অংশগ্রহণকে কেন্দ্র করে স্থানীয় ঈদগাহ মাঠে ৯নং ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি জামসুরের ছেলে আবু সাইদ (৩৫) ও তার সঙ্গে থাকা কয়েকজন ব্যক্তি আওয়ামী লীগ সমর্থকদের বাধা দেওয়ায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। ঘটনার প্রতিবাদ করায় বিকেলে সাইদসহ ২/৩ জন মোটরসাইকেলে এসে আব্দুল হাইকে লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপ করে পালিয়ে যায়।
শার্শা থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং তদন্ত চলছে। ঘটনার পর এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে, তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। এখনও পর্যন্ত এ ঘটনায় কোনো মামলা দায়ের হয়নি।
এদিকে বেনাপোল পোর্ট থানার অফিসার ইনচার্জ মো রাসেল মিয়া ঘটনা সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ঘটনাটা এটি রাজনৈতিক দলের আভ্যন্তরীণ কোন দল। এই ঘটনায় পুলিশ পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এলাকায় রয়েছে।