ঝিনাইদহের দুটি উপজেলায় চেয়ারম্যান নির্বাচীত হলেন মাসুম ও শিবলী

১ম ধাপের ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ঝিনাইদহের দুটি উপজেলায় ভোটগ্রহণ শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল ৮ টা থেকে বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ চলে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত।

ঝিনাইদহ সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আনারস প্রতীকের মোঃ মিজানুর রহমান মাসুম ও কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান পদে আনারস প্রতীকের শিবলী নোমানী বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।

ঝিনাইদহ সদরে মিজানুর রহমান মাসুম আনারস প্রতীকে ৫০ হাজার ৭ শ‘ ৪৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী জে,এম রশীদুল আলম দোয়াত কমল প্রতীকে ৪৩ হাজার ১ শ‘ ৭০ ভোট পেয়েছেন।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে উড়োজাহাজ প্রতীকের এনামুল হক বিজয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৪০ হাজার ৩’শ ২০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী তালা প্রতিকের আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস পেয়েছেন ৪০ হাজার ৩’শ ২০ ভোট। এছাড়া মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রজাপতি প্রতীকের বর্ষা হিজরা বিজয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৫৪ হাজার ২’শ ৫৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী হাঁস প্রতিকের আরতী দত্ত পেয়েছেন ২৩ হাজার ৩’শ ৫২ ভোট।

ঝিনাইদহ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজিয়া আক্তার চৌধুরী ও সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসার এবং সহকারী রির্টানিং অফিসার মোঃ কামরুজ্জামান বেসরকারি ভাবে এ ফলাফল ঘোষণা করেছেন।

অপর দিকে কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আনারস প্রতিকের শিবলী নোমানী বিজয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৪২ হাজার ৬’শ ৭৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী মোটরসাইকেল প্রতিকের মতিয়ার রহমান মতি পেয়েছেন ৫ হাজার ৫’শ ৭২ ভোট। ভাইস চেয়ারম্যান পদে উড়োজাহাজ প্রতিকের শফিকুজ্জান রাসেল বিজয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ২৯ হাজার ১’শ ৪৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী চশমা প্রতিকের আনিচুর রহমান মিঠু মালিথা পেয়েছেন ১৫ হাজার ৯’শ ৩২ ভোট। এছাড়া মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে হাঁস প্রতিকের শাহনাজ পারভীন বিজয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৩৫ হাজার ৬’শ ৩৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী ফুটবল প্রতিকের তিথী রানী পেয়েছেন ২৩ হাজার ৯’শ ৭৭ ভোট।

৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ১ম ধাপের ভোটগ্রহণ শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল ৮ টা থেকে বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ চলে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত। তবে বেশিরভাগ কেন্দ্রগুলোতে ভোটারদের লম্বা লাইন লক্ষ্য করা যায়নি। ভোটার উপস্থিতিও ছিল তুলনামূলক কম। উপজেলার কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন অফিসার রশিদুল আলম বেসরকারি ভাবে এ ফলাফল ঘোষণা করেছেন।

উল্লেখ্য, এবারের নির্বাচনে ঝিনাইদহ সদর ও কালীগঞ্জ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ১০, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১০ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬ প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেছিল।

ঝিনাইদহ জেলা রির্টানিং অফিসার ও জেলা নির্বাচন অফিসার মোখলেছুর রহমান জানান, নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ করতে দুই উপজেলায় ৩৪ টি মোবাইল টিম, ৪ টি স্ট্রাইকিং ফোর্স ও ৫ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়। এছাড়াও প্রতিটি কেন্দ্রে ৪ জন পুলিশ সদস্য ও ১৩ জন আসনার সদস্য উপস্থিত ছিল।