ঝিনাইদহে উপজেলায় চেয়ারম্যান নির্বাচীত হলেন মোস্তফা আরিফ মন্নু ও সাইফুল ইসলাম টিপু

দ্বিতীয় ধাপের ৬ষ্ট উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ঝিনাইদহের শৈলকুপা ও হরিণাকুন্ডু উপজেলায় ভোটগ্রহণ শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল ৮টা থেকে বিরতিহীন ভাবে ভোট গ্রহণ চলে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।
ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মোটর সাইকেল প্রতিকের মোস্তফা আরিফ রেজা মন্নু ও হরিণাকুন্ডু উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আনারস প্রতিকের সাইফুল ইসলাম টিপু মল্লিক বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।

ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলায় মোস্তফা আরিফ রেজা মন্নু মোটর সাইকেল প্রতিকে ৭৩ হাজার ৬’শ ৭৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছে। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোঃ শামীম হোসেন দোয়াত কলম প্রতিকে পেয়েছেন ৭১ হাজার ৮’শ ৮০ ভোট। এছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান পদে জাহিদুন্নবী চশমা পতিকে ৭৫ হাজার ২’শ ৭৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোঃ শাকিল আহম্মেদ তালা প্রতিকে পেয়েছেন ৫০ হাজার ৯’শ ২ ভোট। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে আফরোজা নাসরিন লিপি হাস প্রতিকে ৭৩ হাজর ৬’শ ৩৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রাফেজা খাতুন ফুটবল প্রতিকে পেয়েছেন ৫৯ হাজার ৬১ ভোট।
অপর দিকে হরিণাকুন্ডু উপজেলা চেয়ারম্যান পদে সাইফুল ইসলাম টিপু মল্লিক আনারস প্রতিকে ৩৪ হাজার ৩’শ ৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শাহিনুর রহমান রিন্টু মোটর সাইকেল প্রতিকে পেয়েছেন ২৪ হাজার ৯’শ ৭২ ভোট। এছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান পদে সাজেদুল ইসলাম চশমা প্রতিকে ৩৪ হাজার ৯’শ ২৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রাফেদুল হক সুমন টিয়া পাখি প্রতিকে পেয়েছেন ১৫ হাজার ৪’শ ৫৮ ভোট। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে জেসমিন আক্তার ফুটবল প্রতিকে ৫৭ হাজার ৯’শ ২২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সুচিত্রা রানী সাধুখাঁ হাঁস প্রতিকে পেয়েছেন ১৯ হাজার ৪’শ ভোট।
জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রথিন্দ্রনাথ রায় বেসরকারি ভাবে ঝিনাইদহের দুটি উপজেলার নির্বাবনী এ ফলাফল ঘোষনা করেন।
মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে ভোট গ্রহণ যা বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীন ভাবে এই ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হয়। অবাধ সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ ভাবে এই ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হয়।
উল্লেখ্য, দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে এ দু’টি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৬ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১০ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬ জন প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেছিল।
জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রথিন্দ্রনাথ রায় এবং জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোখলেছুর রহমান বলেন, নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে এই দুই উপজেলায় পুলিশের ৩৮ টি মোবাইল টিম, ৬টি স্ট্রাইকিং ফোর্স, র‌্যাবের ৪টি টহল ও ৭ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছিল। তাদের সাথে ৩১ জন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট দায়িত্ব পালন করেছিল। এছাড়াও প্রতিটি কেন্দ্রে ৪ জন পুলিশ সদস্য ও ১৩ জন আসনার সদস্য দায়িত্ব পালন করেছিল।